Skip to content

হাঁস মুরগি ছাড়ুন! কম খরচে শুরু করুন এই পাখির ব্যবসা, ডিম বিক্রি করেই মাস গেলে আয় হবে লাখ লাখ টাকা

  • by
img 20230225 175041

সবচেয়ে বেশি পশু পালন করা হয় ভারতে। ভারতীয়রা পশুপালন করায় সবচেয়ে বেশি আসক্ত। ভারতে প্রায় অনেক পরিবার নিজেদের শখের জন্য পশু পালন করে, এছাড়াও হাঁস, মুরগি (Poultry Farming) ছাগল কেনে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এটা শুধু শখ নয়, এটা তাদের কাছে একটা জীবিকাও।

Hen

তবে যারা হাঁস মুরগি পালন করেন তাদের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অসুবিধা হলো ওই পালনকারীদের জন্য আপনাকে প্রতিদিন বেশ অনেক অর্থেরই খাবারের যোগান দিতে হয়। এর ফলে অতিরিক্ত পরিমাণ আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। উপার্জনের পরিবর্তে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়ে যায়। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের এমন একটি পাখি পালনের কথা বলব যা আপনাকে অল্প সময়ে লক্ষ্যপতি করে তুলবে।

Baby bird

হ্যাঁ, পাখিটির নাম হল তিতি পাখি (Pheasant Bird)। এই পাখির সম্বন্ধে অনেকেই প্রায় জানেন না বললেই চলে। বাজারে এই পাখির মাংসের চাহিদা অতিরিক্ত। গবেষকরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, এটি একটি বন্য জাতীয় পাখি (Wild Bird)। বাজারে মুরগির চেয়েও এই পাখির মাংসের দাম অনেক বেশি। এই পাখির মাংস এত বেশি সুস্বাদু খেতে হয় যার কারণে, প্রত্যেকেই এই পাখির মাংস খেতে পছন্দ করে (There is a high demand for pheasant meat in the market)। অবশ্য এই পাখিকে বেশ কিছু জায়গায় কোয়েল পাখিও (Koyel Pakhi) বলা হয়। বলা বাহুল্য, এই তিতি পাখি (Pheasant Bird) পালনে রাতারাতি প্রচুর অর্থ আয় করা যায়।

Bird

তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বর্তমানে দেশে এই তিতি পাখি বিলুপ্ত প্রায় (The pheasant is almost extinct) অবস্থায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে আপনি যদি ফার্মের মাধ্যমে এই তিতি পাখির চাষ করেন তবে অবশ্যই সরকারের তরফ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, বছরে ৩০০ টিরও বেশি ডিম পাড়ে একটি স্ত্রী তিতি পাখি। জন্মের ৫০ দিন পর থেকেই ডিম দিতে শুরু করে। সাধারণত মুরগির তুলনায় এই পাখি আয়তনে অনেকটা ছোট খুব বেশি পরিমাণে খাবারের যোগান দিতে হয় না। তাই পালনকারীদের খরচের মাত্রা কমে যায়।

Egg

বিশেষজ্ঞদের মতে এই পাখি নিয়ে কেউ যদি ফার্মিংয়ের ব্যবসা শুরু করতে চায় তাহলে অল্প সংখ্যক পাখি নিয়েই শুরু করতে হবে। এই মুরগির ডিমের একগ্রাম কুসুমে ১৫-২৩ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকায় একটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন (Protin), ফ্যাট (Fat) ও কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates) সবই বর্তমান। সবচেয়ে আশ্চর্যতম বিষয় হলো,  মুরগির ডিমের মতো এই পাখির ডিম সাদা হয় না বরং অনেক রঙের দেখতে হয়।

Bird farming

বাজারে মাংসের চাহিদা অতিরিক্ত বেশি হওয়া এই পাখি সহজে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়। যেহেতু এই পাখির প্রতি পালনে খরচের মাত্রা খুবই কম, সেক্ষেত্রে আপনি ফার্মের মাধ্যমে পাখি পালন করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারেন। গবেষকদের মতে পোল্ট্রি ফার্মের থেকেও এই তিতি পাখির ব্যবসায় অতিরিক্ত লাভ হয়।

Share