আগের সপ্তাহের প্রথম দিনেই শেষ হল কালীপুজো। পুজোর দিন সকাল থেকেই আকাশ জুড়ে কালো মেঘে ঢেকে ছিল। সন্ধ্যের পর থেকে তুমুল বৃষ্টি। তবে এখন আকাশের অবস্থা অনেকটাই পরিষ্কার। ভোরের দিকে শীতের ঠান্ডা বাতাস অনুভব হলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তেজ বাড়ছে। যদিও আবহাওয়া দফতর দক্ষিণবঙ্গে কবে জাঁকিয়ে শীতের মরসুম শুরু হবে তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানা গেছে নভেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহের পূর্বে শীত পড়ার তেমন কোন সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানা গেছে, সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেশি ছিল। ২০.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। রবিবার তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি নিচে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা তরফ থেকে আবহাওয়া দপ্তরে জানা গেছে, অক্টোবর মাসে বিগত ১০ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদের অবস্থা এত কম ছিল না।
আজ কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সকালের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা ছিল। তবে প্রতিদিনের মতোই বেলা বাড়তেই আকাশ জুড়ে ঝলমলে রোদ দেখা গেছে। তবে পরের দিকে আকাশে মেঘলা অবস্থা দেখা গেল বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। তবে জাঁকিয়ে পড়া শীতের আমেজ কবে থেকে উপভোগ করবে সবাই? কি বলছে আবহাওয়ার দফতর?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকা গুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রার খুব বেশি ওঠা-নামা হবে না। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়ার মতো অবস্থার এখনও দেরী আছে। বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবে শীতের আমেজ। তবে আশা করা যাচ্ছে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পারদ নামতে শুরু করবে।