বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন। ‘জনস্বার্থবিরোধী’ বিদ্যুৎবণ্টন সংশোধনী বিলের বিরোধিতা প্রসঙ্গে এই চিঠি। কোনরকম আলোচনা ছাড়া এই মোদি সরকার এই বিলটি সংসদে এই বিল পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। এই প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একতরফা সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর সাথে সাথে এও অভিযোগ করা হয়েছে যে এতে রাজ্যের অধিকার খর্ব হবে। একতরফা ভাবে বিদ্যুৎবণ্টন সংশোধনী বিল (Electricity Amendment Bill 2021) পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। এদিন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি 2020 সালে এই বিল পেশের কথা ছিল। তখন রাজ্যগুলি সম্মিলিত আলোচনার দাবী করেছিল। কিন্তু কেন্দ্র সরকার রাজ্যের দাবি কর্ণপাত না করে বিল পেশ করছে। যদি এই বিল আইনে পরিণত হয় তাহলে রাজ্যের অধিকার গুলি খর্ব হবে এবং রাজ্যের বিদ্যুৎ সংস্থা গুলি রুগ্ন হয়ে পড়বে। চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র-রাজ্যের যুগ্ম তালিকায় থাকা বিষয়। অথচ রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা হচ্ছে না। সংশোধনী বিলটিকে জনবিরোধী বলেও দাবি করেছেন তিনি। মমতার কথায়, “বিল পাশ হলে বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থার উপর থেকে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে। যার জেরে সমস্যায় পড়বেন রাজ্যের গরিব মানুষেরা।”
কেন্দ্র সরকার দেশে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়াবার জন্য সংসদে এই (Electricity Amendment Bill 2021) বিল আনতে চলেছে। বিল পাশ হয়ে গেলেই দেশের যে কোনও এলাকায় যে কোনও সংস্থা বিদ্যুৎবণ্টন করতে পারবে এবং তার সাথে সাথে লাইসেন্স প্রথা ও শেষ হয়ে যাবে। একাধিক সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে ঠিক যেমন টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংস্থা গুলি করে থাকে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বক্তব্য, বিদ্যুৎ বন্টন এর প্রতিযোগিতা বাড়লেই বিদ্যুতের খরচ অনেক কমবে। এতে দেশের সাধারণ মানুষদের ই লাভ। কিন্তু এই কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানতে নারাজ।