Skip to content

করোনার তৃতীয় ঢেউ এর হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

করোনার(COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউ এ গোটা দেশজুড়ে হাহাকার। চারিদিকে মৃত্যু মিছিল দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই তৃতীয় ঢেউ এ সবচেয়ে বেশি শিশুরা আক্রান্ত হবে। অথচ বর্তমানে শিশুদের জন্য কোনরকম ভ্যাকসিনের ঘোষণা করা হয়নি। তাহলে এই সংকটজনক অবস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা করার উপায় কি?

আসুন বিশিষ্ট ডাক্তার ও পুষ্টিবিদদের দেওয়া অভিমত গুলি জেনে নেওয়া যাক যেগুলি পালন করলেন করোনার এই তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের রক্ষা করা যেতে পারে। Nutri4Verve এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পুষ্টিবিদ শিবানী শিক্রি জানিয়েছেন করোনার সংক্রমণ থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখতে কতগুলি আগাম প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। তিনি বেশ কয়েকটি টিপস দিয়েছেন আসুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক।

করোনা

তৃতীয় ঢেউ

টিপস

•জাঙ্ক ফুড (junk food) থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। সর্বাধিক পরিমাণে সুষম খাদ্য দেওয়ার চেষ্টা করুন।

•খাবারের তালিকার মধ্যে ডিম, মাছ, মুসুর ডাল, মাল্টিগ্রেইন ময়দা, সূর্যমুখী বীজ, সিম ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার গুলি যেন থাকে।

•ভিটামিন-সি(vitamin C) দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity power) অনেকাংশে বাড়ায়। ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক এসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মানব শরীরে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না।প্রতিদিনের গ্রহণ করা খাদ্য থেকেই এই ভিটামিন-সি শরীরকে অর্জন করতে হয়।

•ভিটামিন-সি (Vitamin C)  যুক্ত কয়েকটি খাবার গুলি হল:- আম, আনারস, কমলালেবু ,আমলা, টমেটো, লাল সবুজ হলুদ ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, স্ট্রবেরি, ইত্যাদি ফল জাতীয় খাবার গুলি। এইগুলি বাচ্চাদের যথেষ্ট পরিমাণে প্রতিদিন দেওয়ার চেষ্টা করুন।

•দেহে অনাক্রমতা, প্রোটিন সংশ্লেষণ, এনজাইমেটিক প্রতিক্রিয়া, ও বিকাশ বৃদ্ধিতে শরীরের জিঙ্ক বা দস্তার উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

করোনার তৃতীয় ঢেউ

•জিংক বা দস্তা সমন্বিত কয়েকটি খাদ্য গুলির নাম হল:- বাদাম, শস্য ছোলা ,মাংস এছাড়াও উদ্ভিদ সহ বিভিন্ন খাদ্য যেগুলি প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় সেগুলো যথেষ্ট পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিংক শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষতগুলি নিরাময় করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

•হলুদ বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। হলুদের মধ্যে থাকে কারকুমিন। এটি রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারকুমিন’ শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। কোভিদ সংক্রমনের ফলে শরীরে প্রদাহ অনেক বেড়ে যায় যা হলুদ অনেকাংশে কম করে দেয়।

•পিতামাতাদের নজর রাখতে হবে যেন বাচ্চাদেরকে তারা তাদের খাবারে প্রাক ও প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার দেন। সয়া, দই, ও বিট খাদ্যে যথেষ্ট পরিমাণে এই পুষ্টিগুণ গুলি আছে। এগুলো খেলে আমাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরকে রোগ প্রতিরোধ করতে অনেকাংশ সাহায্য করে।

উপরের দেওয়া টিপসগুলি যথাসম্ভব পালন করার চেষ্টা করুন যাতে আপনার বাড়ির বাচ্চারা এই মারাত্মক ভাইরাস থেকে রেহাই পায়। এছাড়াও যতটা সম্ভব covid protocol গুলি পালন করার চেষ্টা করুন।

Share