মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নোটিশ পাঠালো। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির জন্য এই নোটিশ। নোটিশে বলা হয়েছে তারকেশ্বরে মুসলমানদের একজোট হওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, আর এই কারনেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাকে।মুখ্যমন্ত্রীকে 48 ঘণ্টার মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে বলা হয়েছে এই নোটিশ এর উপর নচেৎ তার ওপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জাতি-ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে কখনো ভোট চাওয়া যাবে নাঅথবা কোন মন্দির বা মসজিদ এর ভিত্তিতে ভোট চাওয়া যাবে না।এদিন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর মুক্তার আব্বাস নকভি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য কে ভিত্তি করে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তারকেশ্বরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে কমিশন খতিয়ে দেখছে এবং তাতে তারা স্পষ্ট দেখছে যে আদর্শ আচরণবিধি লংঘন করা হয়েছিল এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এর 123(3) এবং 3A ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে।
বেশিরভাগ সভাতেই মুখ্যমন্ত্রী কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভোট চাইতে দেখা যায়। এমনকি তিনি সোজাসুজি এও বলে দিয়েছিলেন যে যে গরু দুধ দেয় তার কাছ থেকে লাথি খাওয়া অনেক ভালো। অন্যদিকে সংখ্যালঘুর ভোটকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রী যে ভোট চাইছে তার বিরুদ্ধে আব্বাস সিদ্দিকী খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় বিভাজনের রাজনীতির খেলা খেলছে।
এছাড়াও আব্বাস সিদ্দিকী আরো অভিযোগ করে যে ইমামদের ভাতা দিয়ে, ঘোমটা দিয়ে নামাজ পড়া ইত্যাদি করে বাংলায় বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এতে মুসলমানদের ভালো থেকে খারাপই বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ের উপর প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেন যে আমি যদি বলতাম সমস্ত হিন্দু একজোট হও তাহলে কি হতো? তখন নির্বাচন কমিশন আমার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করত। আমার দলের সভাপতি কে নোটিশ পাঠাতো এবং আমাকে প্রচারে যেতে দেওয়া হতো না। আন্তর্জাতিক সমস্ত খবরের কাগজে এ বিষয়ে হইচই হয়ে যেত। এভাবে প্রধানমন্ত্রী নানাভাবে মুখ্যমন্ত্রী কে বাক আক্রমণ করেছেন।তার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন যে জানিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের এই নোটিসের উত্তর দেবেন কিনা। এবং বলেন বস্তুত এবারে মমতা ব্যানার্জি ও তার তৃণমূল কংগ্রেস দল এবারে বাংলায় হারতে চলেছে তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজের সীমা ছাড়িয়ে চলেছেন। কার্যত আমরা অনেকবার দেখেছি তৃণমূল কংগ্রেস দল কেন্দ্র সরকার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এক রকম ভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে বলে বলা চলে। এখন দেখার বিষয় নির্বাচন কমিশনের এই নোটিশ এর উত্তর মমতা ব্যানার্জির দিচ্ছেন কি না!