নিরামিষ ভোজন শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। নিরামিষ খাবারের প্রচলন প্রাচীন ভারত ও গ্রিক সভ্যতা থেকে শুরু হয়েছে। নিরা’মিষ খাবারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে Vitamin C And Vitamin E, ফলিক এসিড, ও প্রচুর পরিমাণে স্নেহ জাতীয় পদার্থ। নিরামিষ জাতীয় খাবারের উৎস ক্লোরেস্টল জাতীয় রোগ প্রতিহত হয় এছাড়াও হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
আসুন নিরামিষ খাবারের কয়েকটি বিশেষ উপকারী দিক সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক। (India News 24×7)
•শরীরে কোলেস্টেরল প্রাণিজ ফ্যাট জাতীয় খাবার থাকে। এই কোলেস্টেরলের ফলে শরীরের নানা রকম রোগের সৃষ্টি হয়।
তবে আপনি যদি নিরামিষ ভোজন শুরু করেন তাহলে দেহে কোলেস্টরলের মাত্রা অনেকাংশে কমে যাবে।
•নিরামিষ ভোজন করা ব্যক্তিরাও স্থূলতা থেকে রেহাই পায়। অর্থাৎ আমি ভোজনকারী ব্যক্তিরা মোটা জনিত রোগে ভোগেন।
কিন্তু নিরা’মিষ আহার কারী ব্যক্তিরা এই সমস্যায় পড়েন না।
•উজ্জ্বল ও চকচকে ত্বক পেতে নিরা’মিষ আহার শুরু করুন। সব সবজি ফলমূল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে এবং এগুলি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।
•সমীক্ষায় দেখা গেছে আমিষ জাতীয় খাদ্য ভোজনকারী রা বেশির ভাগেই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভোগেন।
কিন্তু নিরা’মিষ ভোজী ব্যক্তিরা এই সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পেয়েছেন।
•নিরামিষ খাদ্য গ্রহণ মানসিক চাপ অনেকাংশে কমায়। দেখা গেছে আমিষ ভোজনকারী ব্যক্তিদের তুলনায় নিরা’মিষ ভোজীরা মানসিক চাপ থেকে অনেকাংশে মুক্ত।
•খাদ্যভ্যাস আপনার চোখের ছানির কারণ হতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত নিরামিষ আহার ভোজন করেন তাহলে কম বয়সে ছানি পড়া থেকে মুক্তি পাবেন।
•আমরা জানি আমিষ খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়। অর্থাৎ শরীর এগুলোকে পচন করতে একটু বেশি সময় ব্যয় করে।
কিন্তু নিরা’মিষ খাবার ভোজন করলে আপনার হজম ক্ষমতা ঠিক থাকবে।
•ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিরা’মিষ খাদ্য গ্রহণে হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। আমিষ খাদ্য গ্রহণ হৃদরোগের একটি কারণ।
•আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। এবং শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন এবং অর্থ সাশ্রয় করুন।
•সমীক্ষা করে দেখা গেছে শাকসবজি, ফলমূল আপনার খাদ্য তালিকায় যত বেশি পরিমাণে রাখবেন ততই আমার আয়ুষ্কাল দীর্ঘমেয়াদি হবে।
আমিষ খাদ্য বহনকারী ব্যক্তিদের তুলনায় নিরা’মিষ খাদ্য গ্রহণকারী ব্যক্তিরা দীর্ঘজীবী হয়।
তবে আপনিও আজ থেকে নিরামিষ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস শুরু করে দিন। কারন এটি আপনার শারীরিক উন্নতি ঘটাতে অনেকাংশে সাহায্য করে।