Skip to content

কে এই সুজাতা? যার নাম বারবার উঠে আসছে ছত্রিশগড় মাও হামলার মাস্টারমান্ডে

শনিবার অর্থাৎ 3 ই এপ্রিল ছত্রিশগড় রাজ্যের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে বিজাপুর ও সুকমা জেলার সীমান্তে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক লড়াই হয়। লাইট মেশিনগান থেকে শুরু করে আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর প্রায় 700 জন মাওবাদী হামলা চালায়। এর ফলে আমাদের 22 জন জওয়ান শহীদ হয়ে গেলেন। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর এই হামলা হবে তা আগে থেকে আন্দাজ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই মাওবাদীরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাওয়ান দিকে ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এই হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে এক সুজাতা নামের এক মহিলার নাম উঠে আসছে।

এখন প্রশ্ন কে এই সুজাতা?

সুজাতা হলো 34 বছর বয়সী এক মহিলা যে বিজাপুরের মাওবাদী সংগঠনের মূল দায়িত্বে রয়েছে। এর আগে বিজাপুর পুলিশের হাতে এই সুজাতা গ্রেফতার হয়েছিল তবে পুলিশের হাত থেকে সে পালাতে সক্ষম হয়। এর উপর 8 লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। সুজাতা মূলত দক্ষিণ বস্তারের দণ্ডকারণ্যের দায়িত্বে ছিল। এবং তারপরে এক বৃহৎ অঞ্চল তার কবজাই চলে আসে। এই হামলার আগের অনেকগুলি মাওবাদী হামলার নেপথ্যে ছিল এই সুজাতা। সুজাতার স্বামীও একজন মাওবাদী নেতা তার নাম আজাদ আলিয়াস কোয়দা।

সুজাতা

মাও হামলার মাস্টারমাইন্ড

গত শনিবার বিজাপুরে CRPF এর Cobra Battalion , District Reserve Guard, Special Task Force যৌথ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। অভিযান চলাকালীন মাওবাদীরা জঙ্গলের ভেতর থেকে জওয়ানদের উপর গুলি চালায়। এর ফলে শনিবার 2 জন জওয়ানের দেহ খুঁজে পাওয়া যায় এবং রবিবার আরো 20 জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার করা হয়। দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, সুজাতা ও তার বাহিনীর হামলার জায়গাটি সম্পর্কে নিখুঁতভাবে জ্ঞাত। গোটা জায়গাটি তাদের হাতের কব্জায়।

ছত্রিশগড়

এর ফলে নিরাপত্তাবাহিনীকে ঘিরে ফেলা তাদের পক্ষে অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়। ওই এলাকার মাওবাদী দলের নেতারা আগের থেকেই খবর পেয়ে গিয়েছিল যে সিআরপিএফের জওয়ান, স্পেশাল টাস্কফোর্স, ডিস্ট্রিক্ট রিজাভ গার্ড এর যৌথবাহিনী তল্লাশি চালাতে আসছে। কিন্তু অন্যদিকে জওয়ানরা মাওবাদীদের অবস্থান আন্দাজ করতে পারেনি। এর ফলে সেই মাওবাদীরা তিন দিক থেকে সেনাবাহিনী কে ঘিরে ফেলে এবং নির্মমভাবে গুলি চালায়। এর ফলে আমরা আমাদের দেশের 22 জন বীর জওয়ান দের হারালাম। এই বীর শহীদ জওয়ান ও তাদের পরিবারকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।

জয় হিন্দ । বন্দেমাতরম।

Share