মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো রাজ্যে চালু হয়ে গেল WB Student Credit Card Scheme। এবার থেকে আর আর্থিক কারণে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা থমকে যাবে না। পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য রাজ্য সরকার দেবে ঋণ। কি কি শর্তে ছাত্র ছাত্রীরা এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। গত 24 শে জুন ক্যাবিনেটে এ প্রকল্প ছাড়পত্র পায়। আনুষ্ঠানিকভাবে 30 শে জুন প্রকল্পটির সুভারম্ভো করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
তিনি জানান স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ডক্টরেট পোস্ট ডক্টরেট, ডিপ্লোমা, IAS,IPS WBCS এছাড়াও যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ছাত্র ছাত্রীরা এই লোন নিতে পারবে। ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে ছাত্র ছাত্রীরা 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। এই প্রকল্পের আবেদন করার জন্য বয়সের সর্বোচ্চ সময়সীমা রাখা হয়েছে 40 বছর। লোন পরিশোধ করার সময় থাকছে 15 বছর পর্যন্ত। কোর্স চলাকালীন যেকোনো সময়ে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে।
আবেদন করার প্রক্রিয়াটি অনলাইনে করতে হবে। www.wb.gov.in পোর্টালে গিয়ে আপনি আবেদন করতে পারেন। এছাড়া বিস্তারিত জানতে 18001028014 টোল ফ্রি নম্বর এ ফোন করতে পারেন। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত 10 বছরের বাসিন্দা হতে হবে। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্যারান্টার হিসেবে রাজ্য সরকার স্বয়ং থাকবে। এর ফলে ব্যাংক কোনমতেই ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের ওপর কোনোরূপ চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না।
শুধুমাত্র বৈধ কারণ দেখালেই ছাত্রছাত্রীরা যে কোন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বেসরকারি এবং কিছু আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেয়ে যাবে।স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে 15 বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। অভিভাবক চাইলে এই সময়সীমার আগেই ঋণ পরিশোধ করে দিতে পারেন। এই প্রকল্পে সুদের হার রাখা হয়েছে 4 শতাংশ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুদের হার একই রাখা হবে। এই ঋণ এর মধ্য থেকে ছাত্রকে একটি জীবন বীমা করিয়ে দেওয়া হবে যার প্রিমিয়াম ছাত্রছাত্রীকে লোনের পরিমাণ থেকেই দিতে হবে।
(Student credit card)
এই প্রকল্পের আওতায় ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো খরচের জন্য লোন নিতে পারে। যেমন শিক্ষার্থী যদি ছাত্রাবাসে থাকে তার খরচ, শিক্ষাসংক্রান্ত পরিবহন এর খরচ ইত্যাদি। শিক্ষার্থীর যে প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করছে সেই প্রতিষ্ঠানের বাইরে অর্থ খরচ করার এক্তিয়ার রয়েছে মাত্র 30 শতাংশ। এই প্রকল্প শিক্ষার্থীদের তাদের উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে যেতে যথেষ্ট সাহায্য করবে।