গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। আমরা কথা বলছি কলকাতার মহারাজকে নিয়ে, আর নিশ্চয়ই বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না আমরা কার বিষয়ে কথা বলছি। যিনি জন্মসূত্রে সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছেন তো বটেই কিন্তু তিনি নিজেও কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। ৫০ বছর বয়সী তারকার অক্লান্ত পরিশ্রমও কম হয় না।
সম্প্রতি তথ্য এমন কথাই বলছে, তিনি খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর বিসিসিআইয়ের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বেশ কিছুদিন, যেখান থেকে তিনি আয় করতেন বার্ষিক পাঁচ কোটি টাকা কিন্তু বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ হারিয়েও তাঁর উপার্জন এতোটুকু কমেনি উল্টে বেড়ে গিয়েছে। তিনি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন আরো নানান কাজে যেমন বন্ধন ব্যাংক বিস্কফার্ম মারি বিস্কুট, মাই ইলেভেন সার্কেল, সেনকো গোল্ড, জে এস ডাব্লু সিমেন্ট, অজন্তা জুতো ইত্যাদির মতো ১১টি সংস্থা ও প্রোডাক্টের এনডোর্সমেন্টের সঙ্গে যা থেকে তাঁর বছরে আয় হয় ৩ কোটি টাকার বেশি।
মহারাজ পুমা ব্র্যান্ডের এনডোর্সমেন্টের থেকে বার্ষিক রোজগার করেন ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা তেমনই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাদের মধ্যে। দাদাগিরি শোয়ের সঞ্চালনা করতে গিয়ে তাঁর সাপ্তাহিক পারিশ্রমিক ছিল ১ কোটি টাকা। যদিও এই তথ্যের কোন সত্যতা বিচার করা হয়নি সমস্তটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। আইপিএলেও (IPL) যুক্ত রয়েছেন মহারাজ। দিল্লি ক্যাপিটালস দলের তিনি ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। তবে এখানে তিনি কত বেতন পান সে সম্পর্কে এখনো সুস্পষ্ট কিছু তথ্য জানা যায়নি।
সৌরভ গাঙ্গুলীর যে বিপুল সম্পত্তির পরিমাণের খতিয়ান আমরা পেয়েছি তা হল মোট ৪৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে যার মধ্যে ৭ কোটি টাকার শুধুই গাড়ি। অনেকেরই অনুমান তা সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৩৬৫ কোটি টাকা কিন্তু আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ হুহু বেড়েছে বর্তমানে যা প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সমান। তাঁর মাসিক রোজকার 8 কোটি টাকারও বেশি। ৫০ বছর বয়সেই তারকার এত সম্পত্তির খতিয়ান জানতে পেরে অনেকেই হতবাক।