বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে ২৪ ঘন্টাও যেন আমাদের কাছে ভীষণ কম পড়ে যাচ্ছে। কখন সকাল হচ্ছে আর কখনো রাত হচ্ছে, খেয়াল থাকছে না আমাদের। নিজের জন্য সময় বের করতে যেন হিমশিম খেয়ে যেতে হচ্ছে। ২৪ ঘন্টাও পর্যাপ্ত হচ্ছে না। তবে এবার আমাদের এই সময়ের কাঙ্গালিপনা দূর হয়ে যাবে খুব সহজে। কিভাবে হবে সেটাই জানবো আমরা।
আমাদের এই সমস্যা দূর করবে স্বয়ং চাঁদ (Moon) মামা। আমাদের নিত্য দিনের কাজে এবং আমাদের পৃথিবীর ওপর চাঁদ মামার যে প্রভাব রয়েছে তা আলাদা করে বলার দরকার নেই। জোয়ার ভাটা বা দিন রাত নিয়ন্ত্রণ করার পেছনেও কিন্তু চাঁদের অবদান অপূরণীয়। কিন্তু এবারে চাঁদি নাকি পৃথিবী থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। এই দূরত্ব বাড়ার জন্যই এবার দিনের সময় ২৪ ঘন্টা থেকে বেড়ে ২৫ ঘন্টা হতে চলেছে।
বিজ্ঞানীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গেছে, পৃথিবী থেকে বার্ষিক ৩.৮ সেমি অর্থাৎ দেড় ইঞ্চি মতো সরে যাচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। এই বিশেষ ঘটনার ফলেই বাড়তে চলেছে দিনের দৈর্ঘ্যতা। কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ১৩ ঘণ্টা যদিও পরবর্তী সময়ে সেই দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রমশ। ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের পর প্রতি শতাব্দীতে ১.০৯ মিলি সেকেন্ড করে সময় বাড়ছে দিনের। আবার অনেক বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী ১.০৯ মিলি সেকেন্ড নয়, বরং ১১.৭৮ মিলি সেকেন্ড হারে বাড়ছে এই সংখ্যা।
বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, দিনের দৈর্ঘ্য বেড়ে ২৫ ঘন্টা হয়ে যেতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। এই সবকিছুই হচ্ছে জোয়ার ভাটার ফলে, যার ফলে ক্রমশ কমে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি। তবে এই ২৫ ঘন্টার হিসেব কিভাবে হবে তা এখনো জানা যায়নি। পরবর্তীকালে আমাদের কাজের উপর কতটা প্রভাব পড়বে এই সময়ের হেরফের সেটাও জানা যায়নি এখনও।