আপনার কি মনে আছে সেই বরফের পপসিকস, যা আপনি আপনার স্কুলের দিনগুলিতে খুব পছন্দ করে খেতেন? রবি কাবরা এবং অনুজা কাবরা শৈশবের সেই স্মৃতিগুলিকে একটি ব্র্যান্ড নিয়ে বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের স্টার্টআপের নাম দেন স্কিপ্পী আইস পপস। মহামারীর কারণে, রবি কাবরা এবং অনুজা কাবরাকেও বাকিদের মতো বাধ্য হয়ে বাড়িতে বসে থাকতে হয়েছিল।
তাঁদের কারখানা মাত্র এক মাস চলার পর এক বছর বন্ধ থাকে এবং তাঁদের ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। রবি কাবরা এবং অনুজা কাবরা ‘শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়া’ নামক টেলিভিশন শোতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এখান থেকে তাঁদের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন ঘটে।আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই দুইজন এই কোম্পানী শুরু করলেন। অনেক কোম্পানীতে কাজ করার পর তাঁরা নিজের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
অনুজা বলেন, যখন তাঁরা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাঁদের মনে আগে থেকেই আইস পপসিকলের ধারণা ছিল। তারপর তাঁরা ২০২০ সালের মার্চ মাসে কোনো কৃত্রিম স্বাদ ছাড়াই স্কিপ্পী চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। অনুজা বলেন, প্রথম দিকে তাঁরা আম, লেবু, কমলা এবং রসবেরি কোলা সহ প্রায় ছয়টি স্বাদ নিয়ে বাজারে এসেছিলেন। তাঁরা তাঁদের পণ্যে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক রং, প্রিজারভেটিভ এবং মিষ্টি ব্যবহার করেন।
এর স্বাদ সবজি এবং ফল থেকে আহরণ করা হয়। শার্ক ট্যাঙ্ক বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করা মোটেও সহজ ছিল না। রবি এবং অনুজাকে ৬৬,০০০ প্রার্থী নিয়ে পাঁচ রাউন্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। এরপর তাঁরা বিনিয়োগকারীদের মন জয় করতে সক্ষম হন। প্রথম দফা ছিল টেলিফোন সাক্ষাৎকার। তারপর ডকুমেন্টেশন, ভিডিও পিচ এবং শেষে একটি অডিশন। শার্ক ট্যাঙ্কের পরে, রবি কাবরা এবং অনুজা কাবরার জীবনে অনেক পরিবর্তন হয়।
রবি বলেন, শুধু অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্যে তাঁদের রাতারাতি ২১,০০০টি অর্ডার প্রক্রিয়া করতে হয়েছিল। তাঁরা বিনিয়োগকারী এবং পরিবেশকদের কাছ থেকে হাজার হাজার অনুরোধ পাচ্ছেন। এক সময় তিনি ৮০০ জনের সাথে ভিডিও কল করেন, কারণ তাঁর কাছে ব্যক্তিগতভাবে সকলের সাথে দেখা করার সময় ছিল না।
বর্তমানের কথা বললে, পাঁচটি রাজ্যে এই কোম্পানী পৌছেছে এবং এ বছর এই কোম্পানীর রাজস্ব হয়েছে ৪ কোটি টাকা। কোম্পানীর লক্ষ্য ২০২৩ সালের মধ্যে ৩০ কোটি রাজস্ব অর্জন করা এবং আগামী পাঁচ বছরে কোম্পানীএই সংখ্যাটি ১০০ কোটিতে নিয়ে যেতে চায়।