প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে (Pradhan Mantri Awas Yojana) কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির টাকা এবার সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিস্তি মারফত দেওয়া হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর তথা জেনারেল গয়া প্রসাদ চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে যখন উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে সেই সময় তাদের প্রত্যেকের আধার কার্ড লিঙ্ক করা অনিবার্য। পূর্বেও এই ব্যবসা ছিল, তবে তা বাধ্যতামূলক ছিল না।
এই প্রকল্পে যে সব বাড়ি নির্মাণ করা হয়ে গেছে, সেই সমস্ত বাড়িগুলি আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করতে হবে। এমনকি যে বাড়িগুলির নির্মাণ কার্য চলছে তাদেরও আধার লিঙ্ক করতে হবে। এই আধার লিঙ্ক করা বর্তমানে আবশ্যক কারণ, যাতে একই ব্যক্তি একাধিকবার এই প্রকল্পের সুবিধা না নিতে পারেন। অপরদিকে মুখ্যসচিব প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। এছাড়াও জানা গেছে, বৈঠকে সব জেলার জেলাশাসকদের পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক, সংশ্লিষ্ট দফতরের জেলার আধিকারিকদেরও উপস্থিত থাকার আদেশ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে ২৪ শে নভেম্বর ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আবাস নির্মাণের তথ্য ভান্ডার থেকে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৮টি মোট বাড়ি প্রস্তুত করার অনুমোদন দিয়েছে। এই তথ্য ভান্ডারের তালিকায় মোট নাম রয়েছে ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার উপভোক্তার। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটা থেকে এই ব্যবস্থাটা নির্ধারিত করা হয়েছে যে, কত জন উপভোক্তা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এছাড়াও প্রধান মন্ত্রীর এই প্রকল্প নিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
আদেশ অনুযায়ী, আবাস যোজনার উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা শেষ করতে হবে ৩১ শে ডিসেম্বরে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে রাজ্যের কোটা হাতছাড়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি চিঠিতে বিস্তারিত জানিয়েছে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি তথ্য যাচাইয়ের সমীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। সুতরা খুব শীঘ্রই নির্দিষ্ট হয়ে যাবে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটা। আশা করা যাচ্ছে ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে না, তবে আপনারা যদি উদ্যোগ নেন, তবে এই নির্দিষ্ট সময়ে ১০০ শতাংশ কাজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে।”
এই প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল এবং শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। সারা দেশে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কথা রয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত এর মধ্যে ৩৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এবার আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই এই সম্পূর্ণ নির্মাণ কার্য শেষ হয়ে যাবে।