দেশজুড়ে শুরু হয়েছে “আত্মনির্ভর ভারত অভিযান”। বর্তমানে ভারতে উৎসবের মরশুম (Festival Season) চলছে। আর এই উৎসবের মরশুমে অন্য বছরগুলিতে ভারতের বাজারে দারুণ ব্যবসা করে থাকে চীনের ছোট-বড় সংস্থা। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির পরে ভারতের বাজারে চীনা পণ্য বয়কট এর জেরে ধাক্কা খেয়েছে চীন (China)। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের গণনা অনুযায়ী, একটি মরশুমেই চীনের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটির আশেপাশে।
গতবারের মতো এবছরও চীনা পণ্য বয়কটের ডাক
বিগত বছরে করোনা পরিস্থিতির শুরুর পরই দেশের মানুষের সামনে চলে আসে বিভিন্ন চীনা দ্রব্যের উপর ভারতের জনগণের নির্ভরতার কথা। সেই সময় থেকেই ভারতে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এর জেরে গত বছরেও চীনের ব্যবসার প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। আর এবার চীন প্রায় ৫০ হাজার কোটির ব্যবসা হারাবে বলে মনে করেছেন ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স।
দিওয়ালিতে বাজি এবং সস্তার আলোকসজ্জা বয়কটে লাভ দেশীয় বাজারে
ভারতীয়রা এই দিওয়ালিতে চীনের সস্তার বাজি এবং আলোকসজ্জা বয়কট করেছে। যার সুপ্রভাব এখন দেশীয় বাজারে পড়ছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যথেষ্ট উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেড অফিসের তরফ সে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে দেশীয় মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে এবছর এই সংস্থা প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারবে।
উৎসবের মরসুমে সবথেকে বেশি চীনা পণ্য আমদানি হতো ভারতে
রাখিবন্ধন উৎসব থেকে নতুন বছর উদযাপন এই ৫ মাসে সবথেকে বেশি চীনা পণ্য আমদানি হত ভারতে। দেশের ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা ও আমদানি কারকরা এই উৎসবের মরসুমে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি করতেন। কিন্তু এবছর রাখি বন্ধন উৎসবেই চীনের ক্ষতি প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও গণেশ চতুর্থীতে চীনের প্রায় ৫০০ কোটির ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাজারে দেশীয় পণ্যের চাহিদা
বর্তমানে এই উৎসবের মরসুমে বাজারে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলি। এর ফলে দেশের অর্থনীতি লাভবান হচ্ছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স -এর তরফে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে তারা ২০ টি শহরে সমীক্ষা চালিয়েছে। বিশেষ করে দিওয়ালির জিনিসপত্র, বাজি, আলোকসজ্জা ইত্যাদির ওপর এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। তারা আরও জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন শহরে মানুষ চিনা পণ্যের নয়, দেশীয় পণ্যের খোঁজ করেছেন কিংবা করছেন।
সমীক্ষা চালানো হয়েছিল বেশ কিছু শহরে। যার মধ্যে রয়েছে মুম্বই, নিউ দিল্লি, আমেদাবাদ, কলকাতা, পুনে, চন্ডিগড়, জয়পুর, লখনউ, রায়পুর, ভুবনেশ্বর, রাচি, গুয়াহাটি, পাটনা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, পন্ডিচেরি মাদুরাই ভোপাল এবং জম্মুতে।