যাতায়াতের প্রয়োজনে আমরা সকলেই রাস্তাঘাটে বের হই। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই রাস্তার খারাপ অবস্থা দেখে আর ওই রাস্তা দিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় না। আর অনেক সময় রাস্তাঘাট এতই ভালো থাকে যে সেখান দিয়ে যাতায়াতকারী সবাই মাঝে মাঝে ছবি তোলেন। আপনারা সবাই নিশ্চয়ই অনেক হাইওয়ে দেখেছেন, কিন্তু আজ আমরা আপনাদের ভারতের প্রথম সাউন্ড প্রুফ হাইওয়ে সম্পর্কে বলব যেখান দিয়ে আপনি গেলে ছবি তোলা থেকে নিজেকে আটকাতে পারবেন না। ভারতের প্রথম সাউন্ড প্রুফ হাইওয়ে কোন রাজ্যে নির্মিত হয়েছে তা জানতে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি পড়ুন।
960 কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মহাসড়ক(highway) দিয়ে যাতায়াতকারীরা গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলেন। এই মহাসড়কের নিচে কোন রূপ আওয়াজ হয় না। মধ্যপ্রদেশের সিওনি হয়ে নাগপুর যাওয়ার 29 কিলোমিটার দীর্ঘ হাইওয়ে টি সাউন্ড প্রুফ করা হয়েছে। এই মহাসড়ক প্রযুক্তি ও প্রকৌশলের এক অপূর্ব উদাহরণ।
চমৎকার,চকচকে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য, যেখানে মহাসড়কের নীচে বন্য প্রাণীদের যাতায়াতের জন্য একটি পশু আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞানের ও প্রযুক্তির অপূর্ব মেলবন্ধন এর দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এই মহাসড়ক টিকে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য বিষয় এই যে রাস্তার দুপাশে বনের দৃশ্যের মধ্যে ভ্রমণরত লোকদের একটি মনোরম অনুভূতি দেয়। এই মহাসড়কের একটি 29 কিলোমিটার অংশ পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের বাফার জোনের মধ্য দিয়ে গেছে।
এখান থেকে পশুদের আনাগোনা হয়। মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিও প্রাণের ঝুঁকি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে পশুর নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে এই শব্দ নিরোধ মহাসড়ক(Soundproof highway)। বন্য প্রাণীদের কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।
মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের শব্দ এবং আলো বন্যপ্রাণীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য চার লেনের সড়কের দুই পাশে সাউন্ড ব্যারিয়ার ও হেডলাইট রিডিউসার 4 মিটার উঁচু স্টিলের দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণীদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েই মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি বন্য জীবদের ও সমান অধিকার রয়েছে এই পৃথিবীতে বসবাস করার। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে মহাসড়ক টিকে।