ভারতবর্ষের প্রধান যাতায়াত ব্যবস্থা নির্ভর করে রয়েছে রেল মাধ্যমের ওপর (Indian Railways)। প্রত্যেকদিন রেলের উপর নির্ভর করে বহু সাধারণ মানুষ নিজের কর্মস্থলে পৌঁছান। এক কথায় বলা চলে রেলকে ভারতের ‘লাইফ লাইন’। সমগ্র বিশ্বের মধ্যে ভারতের রেল ব্যবস্থা চতুর্থ এবং সমগ্র এশিয়াতে রেল মাধ্যমে দ্বিতীয় নাম্বারে রয়েছে। রেলের মাধ্যমে যাতায়াত করা যেমন আরামদায়ক তেমনি কম খরচে সম্ভব হয়। রেল পথে যাতায়াত করলে যেমন শারীরিক কষ্ট কম হয় তেমনি কম খরচে যাত্রা করা যায়। ভারতীয় রেল সমগ্র দেশের এক কোনা থেকে আরেক কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে।
আমাদের ভারতবর্ষে মোট ৭৩২১ টি রেলস্টেশন আছে। ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যে এবং সেই রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় রয়েছে একাধিক রেলস্টেশন যার ফলে যাত্রীরা নিজেদের সময় সুযোগ বুঝে যাতায়াতও করতে পারে। তবে ভারতে এমন এক রাজ্য রয়েছে যার সন্ধান আজ আমরা আপনাদেরই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেব সেখানে রয়েছে মাত্র একটি রেলস্টেশন। সেখানকার যাত্রীদেরও যাতায়াত করতে হয় বহু অসুবিধা। সেই একটি স্টেশনের মাধ্যমে সেখানে যাত্রী ও পণ্যবাহী মাল একত্রেই যাতায়াত করানো হয়।
এই রাজ্যটি ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই রাজ্যের নাম মিজোরাম(Mizoram)। এই রাজ্যে রয়েছে মাত্র একটি রেলওয়ে স্টেশন। মিজোরামের এই একটি মাত্র রেল স্টেশন জুড়ে রয়েছে সমগ্র ভারতের সঙ্গে। এই রাজ্যের যে একটিমাত্র স্টেশন রয়েছে তার নাম হলো ‘বৈরবী রেলওয়ে স্টেশন’(Bairabi railway station)। বৈরবী রেল স্টেশনের অফিসিয়াল কোড হল BHRP। মিজোরাম রাজ্যের সকল অধিবাসীরা এই স্টেশনের মাধ্যমেই নিজেদের পণ্য এবং কোথাও যাওয়ার হলে এই স্টেশনের দ্বারাই যাতায়াত করে।
মিজোরামের (Mizoram) এটি শেষ স্টেশন। গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র স্টেশন হওয়া সত্ত্বেও এই স্টেশনের যথেষ্ট আধুনিকতার অভাব রয়েছে। এই রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছে চারটি রেললাইন এবং তিনটি রেলওয়ে প্লাটফর্ম।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিজোরাম রাজ্য ঘন বন জঙ্গলে ঘেরাও হওয়ার কারণে এখানে নতুন করে কোন রেল ট্রাক স্থাপন করা কঠিন। তবে এই রাজ্যের বসবাসকারী অধিবাসীদের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা করছে অতি শীঘ্রই যদি আরেকটি রেলস্টেশন স্থাপন করা সম্ভব হয়। এবং রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানাচ্ছেন আগে এই বৈরবী স্টেশন খুব ছোট একটি স্টেশন ছিল। তবে ২০১৬ সালের পরে এই স্টেশন কে নতুনভাবে সম্প্রসারিত করা হয়েছে।