আবারও চাঁদ নিয়ে শুরু হয়েছে একটি নতুন গবেষণা। চন্দ্রযান এবং চন্দ্রযান ২ এর পর এবার নতুন মিশন নিয়ে ব্যস্ত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (Indian Space Research Organisation)। তবে নতুন মিশনে ভারতীয় (India) এই সংস্থা শুধু একা নয়, তার সাথে এবার সঙ্গ দিয়েছে পড়শি দেশ জাপান (Japan)। এক কথায় ইসরো-কে এবার জাপানও সাহায্য করবে।
ইসরো (Isro) বিজ্ঞানীরা সমস্ত গ্রহকেই গবেষণা করতে শুরু করেছেন। তবে মহাকাশে শেষবার পাঠানো চন্দ্রযান (Chandrayaan) ও চন্দ্রযান ২ -এর (Chandrayaan 2) চাঁদের পৃষ্ঠে নামার কথা থাকলেও একটি গুরুতর যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তারা ব্যর্থ হয়। তবে হাল ছেড়ে দেয়নি ইসরো সংস্থা। আবারও এই উদ্দেশ্যেই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে চলেছে ইসরো (Isro)। তবে এই প্রচেষ্টায় তাদের সঙ্গ দিচ্ছে জাপান (Japan)।
আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্ট ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর অনিল ভরদ্বাজ (Anil Bharadwaj, Director of Physical Resort Laboratory) জাপানের (japan) সঙ্গে মিলিত হয়ে এই নতুন কাজের ব্যাপারে জানান –
‘এবার জাপানের সাথে মিলিত হয়ে যৌথ উদ্যোগে চাঁদে রোভার পাঠানো হচ্ছে। আর এই বিষয় নিয়ে জাপানে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০২৩ -এ চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা সম্পন্ন হওয়ার পরই জাপানের সঙ্গে পরিকল্পনা করে শুরু হবে নতুন চন্দ্রাভিযান।’
খবর সূত্রে জানা গেছে, ভারত (India) ও জাপান (Japan) প্রধানত বরফাবৃত ও অন্ধকারাচ্ছান্ন হয়ে থাকা চাঁদের দক্ষিণ মেরু সংলগ্ন অংশে আসলেই কি কি রয়েছে তা জানার জন্য একজোট হচ্ছে। পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে ১৫ লক্ষ কিমি দূরে ৪০০ কেজি ওজনের একটি বিশেষ স্যাটেলাইট স্থাপন করার পরিকল্পনা চলছে প্রধানত এই কাজের জন্য। জানা গেছে, প্রয়োজনে চন্দ্রযান-৩ এর রোভারটি পুনঃব্যবহার করা যেতে পারে।