Skip to content

বাচ্চাদের জন্য আরো ভয়ঙ্কর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, শরীরে এই লক্ষণ গুলি দেখা মিললে সঙ্গে সঙ্গেই করুন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ

দেশে করোনা তার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে হাজির। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনারি দ্বিতীয় ঢেউ বাচ্চাদের জন্য বিশেষ করে বেশি বিপদজনক বলে জানানো হচ্ছে। বাচ্চাদের জন্য এখনও করোনার ভ্যাকসিন উপলব্ধ করানো হয়নি। এই মতো পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের কিভাবে ভাইরাস থেকে রক্ষা করা যাবে এবং এই ভাইরাস এর কি কি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বাচ্চাদের উপর তা জানা অত্যন্ত জরুরী। আমরা দেখেছি করোনার প্রথম ঢেউ এ বাচ্চারা সেরকমভাবেই বেশি প্রভাবিত হয় নি।

 

কিন্তু এই বছরের দ্বিতীয় ঢেউ এ এই করোনা ভাইরাস বিশেষ প্রভাব ফেলছে, যা বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী থেকে ডাক্তারদের বিশেষ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগেরবার এই ভাইরাসের থেকে বড় রা বিশেষ করে করে সংক্রমিত হয়েছিল। তবে এবার বাচ্চারাও এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলে ভাইরাসের ফলে প্রায় 400 জন শিশু আক্রান্ত হয়েছে। এবং দেশের নানা জায়গা থেকে বাচ্চাদের সংক্রমনের খবর আসছে। এজন্য বাচ্চাদের কি কি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে সেটি জানা অত্যন্ত জরুরী।

করোনা

coronavirus symptoms in children's

লক্ষণ

কারণ লক্ষণ অনুযায়ী আপনাকে শীঘ্রই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। গত বছরে করোনা ভাইরাসের ফলে বাচ্চা থেকে শুরু করে যুবকদের সেরকম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু তাদের দেহ ভাইরাস সংক্রমিত হলেও তারা প্রধানত বাহক এর কাজ করছিল। কিন্তু এই বছর করোনার দ্বিতীয় স্ট্রেনে বাচ্চাদের ও লক্ষণ ধরা পড়ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাচ্চাদের এই করোনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার খবর আসছে। এর আগে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসের এবং অ্যাসিম্পটোমেটিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, এখন তাদের আগের তুলনায় লক্ষণ আরো বেশি দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে শিশুদের বয়স 2-16 বছরের মধ্যে।

 

আগের বছর সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকার জন্য বাচ্চারা বাড়িতেই ছিল। এর ফলে তাদের দেহে এ ভাইরাস ঢুকতে পারেনি। কিন্তু এবছর ধীরে ধীরে প্রায় সকল বেসরকারি স্কুল খুলতে শুরু করে কোন ক্ষেত্রে সরকারি স্কুল। এর ফলে সেইসব বাচ্চারা বাইরে বের হচ্ছে, খেলাধুলা করছে, এবং মাক্স পড়া কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে তারা এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে। অনেক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলি না দেখা গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাচ্ছে। সাধারণ লক্ষণ গুলি হল জ্বর ,সর্দি ,কাশি ,মাথা ব্যাথা। তবে এ ছাড়াও বেশকিছু উপসর্গ ও লক্ষণ ধরা পড়েছে সেগুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

corona

করোনা ভাইরাস

•চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
•শরীরে তীব্র জ্বর।
•বমি ভাব।
•পেশিতে টান, ও ঠোঁট এবং ত্বক ফোলা।
•ক্লান্তি ,অলসতা ও অতিরিক্ত ঘুম।
এছাড়াও অস্থায়ী বধিরতা একটি লক্ষ্য হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে।

∆ এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে বাচ্চাদের কখন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে?
শিশুরা যেহেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয় সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের 100% নির্ভুল কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। তাই এইরকম ভ্যাকসিন তৈরি করতে এখনো প্রায় এক বছর সময় লাগতে পারে। 16 বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের এখনো পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন নেই। তবে এ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে। এছাড়া নবজাতক শিশুর ওপর এর প্রভাব পড়ছে সে ক্ষেত্রে নবজাতক শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আশা করা যায় শীঘ্রই আমরা সকলে ভ্যাকসিন পাবো।

Share