অনেকেই এটা মনে করেন যে রাতে কুকুরের কান্না অশুভ (A dog’s cry is inauspicious)। কারণ এটা নাকি অনেক বড় খারাপ কিছু দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দিতে পারে। তাই যদি কোনও কুকুর খুব ভোরে কাঁদতে শুরু করে তবে আপনার সেই দিনের সমস্ত শুভ কাজ অসফল হবে এমনটাই মনে করা হয়। অনেক সময় রাতের দিকে কুকুরগুলোকে বেশী কাঁদতে দেখা যায়। অনেকেই মনে করেন এটা স্বাভাবিক ঘটনা আবার কেউ কেউ মনে করেন এটায় কোনও খারাপ ইঙ্গিত রয়েছে।
মনে করা হয়, যদি কারোর বাড়ির সামনে কুকুর কাঁদে তাহলে সেই বাড়িতে কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই কুকুরগুলোকে বাড়ির সামনে দেখলেই তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে আপনি কি জানেন কুকুরের কান্নার পিছনে কোনো ধর্মীয় নয়, রয়েছে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ। যদি কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় কুকুরগুলো হঠ্যাৎই ঘেউ ঘেউ করতে শুরু করে তবে এটা একটি ঝামেলার লক্ষণ হতে পারে।
যদি কখনও বাড়ির পোষা কুকুরের চোখে জল দেখতে পান এবং বাড়ির খাবার একদমই না খেতে চায় তাহলে সত্যিই এই বাড়িতে একটি সংকট হতে চলেছে। এছাড়াও বলা হয় যে, কুকুররা অনায়াসেই তাদের চোখ দিয়ে আত্মা বা প্রেতাত্মা দেখতে পারে, তাই তারা যখনই অশুভ আত্মার সম্মুখীন হয় তখন কেঁদে ওঠে। যাই হোক তবে এই কুকুরের কান্নার পিছনে রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক কারণ।
কুকুররা যখন নিজেরা বিপদে পড়ে, তখন তারা কষ্টের ইঙ্গিত দেয়। কুকুর আহত হলে বা তার শরীরে কোনো সমস্যা তৈরি হলে তখন কুকুরগুলো কেঁদে ওঠে। এছাড়াও বলা হয়, যখন কুকুররা নিজেদের এলাকায় অন্য পাড়ার কুকুর দেখে তখন তাদের সঙ্গীদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আসলে বেশিরভাগ কুকুরই একা থাকতে পছন্দ করেন এবং তাই তারা একা থাকলেই কেঁদে ওঠে।