অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী তে টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ 2021 সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো। টানা চার সপ্তাহ বারোটি দলের খেলাতে দুর্দান্ত সব মুহূর্ত চোখে পড়েছে। এই টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড (ICC T20) কাপ সফরে ভারতের শুরু টা প্রথম থেকে খারাপ ছিল। অবশেষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় করে করে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ 2021 এর খেতাব ছিনিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে। বিশ্বকাপ ফাইনাল এর পরের দিন ই আইসিসি টুর্নামেন্ট সেরা একাদশ বেছে নিল।
সেই সেরা একাদশ এর ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম কে। তবে ওই সেরা একাদশে ভারতের কোন খেলোয়াড় এর ই জায়গা হয়নি। এই বছর এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন এর দায়িত্বে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যথা BCCI। তবে করোনা মহামারীর কারণে এই খেলাটি ভারতে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তাই বিশ্বকাপ টি আয়োজন করা হয় সুদূর সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)তে। যে টিম ইন্ডিয়ার প্রতি সকল ভারতবাসীর আশা ছিল তা প্রথম ম্যাচেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। প্রথমবার পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত পরাজিত হয়। তারপরের লাগে দ্বিতীয় ধাক্কা।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ও পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় টিম ইন্ডিয়া কে। তার পরবর্তী তিনটি ম্যাচে অবশ্য ভারত জয় লাভ করে কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। অবশেষে ভারতের কাছে কোয়ালিফাই করার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় এবং বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়। প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের নিয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হয় টুর্নামেন্টের সেরা দল বাছাই করার জন্য। সেখানে বাবর আজম কে অধিনায়ক হিসেবে চয়ন করা হয়।
অবশ্য পাকিস্তান টিম বাবর আজমের অধিনায়কত্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে প্রথম থেকেই। একের পরে এক জয় এনে দেয় পাকিস্তান টিম কে। বাবর আজম ছয় ম্যাচে 303 রান করে রেকর্ড করেন। তাহলে বলা যেতেই পারে অধিনায়ক পদের জন্য বাবর আজম যথেষ্ট দাবিদার। তারপর হলো ওপেনারের সিলেকশন। সেরা ওপেনার হিসেবে আইসিসি (ICC) বেছে নেয় ডেভিড ওয়ার্নার এবং জস বাটলার কে। 3 নম্বরে রাখা হয় বাবর আজম কে।
চার নম্বরে জায়গা পেয়েছেন শ্রীলংকার চরিথ আসালাঙ্কা। 5 নম্বর 6 নম্বর স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার মারক্রম এবং ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈল আলি। 7 নম্বরে থাকছেন আরেক শ্রীলঙ্কান খেলোয়ার হাসারাঙ্গা। 8,9,10 ও 11 নম্বর স্থানে বোলার হিসেবে নেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা,জস হ্যাজলউড, কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট এবং প্রোটিয়া দলের আর্নিচ নর্ৎজেকে। এবং অতিরিক্ত 12 নম্বর স্থানে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের তরুণ পেসার শাহিন আফ্রিদি।
এই সিলেকশন ভারতীয় দলের একজন ও ঠায় পাইনি। যেখানে পাকিস্তানের দু-দুজন দলে জায়গা করে নিয়েছে। একটি ভারতীয় দলের কাছে দুঃখের ও লজ্জার বিষয়। এই সিলেকশন প্রক্রিয়া অবশ্য সকলের মতামত নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। দেখা যাক আগত বিশ্বকাপে নতুন কোচ ও অধিনায়ক এর নেতৃত্বে ভারতীয় দলের নতুন চমক দেখতে পাওয়া যায় কিনা।