জনমানুষের যাতায়াতের মেরুদন্ড এবং ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য হলো ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railway) ব্যবস্থা। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ নিয়মিত নানা কাজের জন্য ট্রেনে ভ্রমণ করে। ভারতে প্রচুর পরিমাণে রেলস্টেশন রয়েছে যেখানে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে ওঠানামা করে। রেল কর্তৃপক্ষকে স্টেশন গুলির জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়।
ভারতীয় রেলওয়ে আবারও এমনই এক নতুন পদক্ষেপ নিল। এই নতুন পদক্ষেপ এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় নব নির্মিত রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে (Newly Constructed Railway Station) বিখ্যাত মন্দির, স্থানীয় সংস্কৃতি, লোকনৃত্য এবং জলপ্রপাতকে ফুটিয়ে তোলা হবে। এরপরে প্রত্যেকটি স্টেশন যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া পাবে তেমনই চারিদিকে ফুটে উঠবে ভারতীয় সংস্কৃতি। এইভাবেই ভারতীয়রা তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও বেশি বোধগম্য হবে এবং তার সাথে স্টেশন গুলি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগবে। যা পর্যটনের জন্য একেবারেই সেরা হবে।
নবনির্মিত স্টেশন গুলিতে রেলপথ মন্ত্রকের (Ministry of Railways) উদ্যোগে সমস্ত ধরনের ভারতীয় সংস্কৃতিগুলি তুলে ধরা হবে। এর জন্য নতুন পরিকল্পনা করা শুরু হয়েছে। বর্তমানে হাওড়া মুম্বাই রুটে যে নতুন স্টেশন গুলি তৈরি হতে শুরু করেছে সেই স্টেশনগুলিতেই এই ভারতীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। খবর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ভাস্কর্য, প্লাস্টার অফ প্যারিস ও পেইন্টিং এর দ্বারা প্রত্নবস্তু খোদাই করা হবে। ইতিমধ্যেই অনেকটা কাজ এগিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত এই ধরনের কারুকার্য দেখা যাবে হওড়া-মুম্বাই রুটে নব নির্মিত রেলস্টেশন ধলভূমগড়ে (Dalbhumgarh)। এই স্টেশনে ফুটিয়ে তোলা হবে নরসিংহগড়ের মন্দিরের ভাস্কর্য। অপরদিকে রয়েছে আরও একটি নব নির্মিত স্টেশন মাইনস রেলওয়ে স্টেশন (Rakha Mines Railway Station)। এই স্টেশনের রুক্মিণী মন্দিরের ভাস্কর্যকে তুলে ধরা হবে। আপনাদের জানিয়ে রাখা উচিত ধলভূমগড় রেলস্টেশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং মাইনস রেলস্টেশনের কাজ এখনও বেশ কিছুটা বাকি। এই দুটি রেল স্টেশন ছাড়াও রয়েছে আরও দুটি রেলস্টেশন যার নাম চক্রধরপুর রেলওয়ে স্টেশন(Chakradharpur Railway Station), টাটানগর রেলওয়ে স্টেশন(Tata Nagar Railway Station)। নতুন পরিকল্পনার আওতায় এই দুটি স্টেশনকেউ নিয়ে আসা হবে।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সিংভূম জেলায় ধলভূমগড় অবস্থিত। এই স্টেশনের ঐতিহ্য স্থান পাবে উপজাতীয় যুবক-যুবতীদের নাচের ছবির পাশাপাশি বিভিন্ন ভাস্কর্য ও চিত্রকলা। অন্যদিকে স্টেশনে আরও ফুটিয়ে তোলা হবে গ্রামের পরিবেশ, বন্যপ্রাণীর সঙ্গে বনের সৌন্দর্য প্যারিসের মাধমে। এভাবেই আস্তে আস্তে কাজ আরো এগিয়ে চলবে এবং ধীরে ধীরে আরো বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে এবং গড়ে উঠতে একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্রের মতন নানা ধরনের রেলস্টেশন।