বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হল ভারতবর্ষ। তাই ভারতকে “মাদার অফ ডেমোক্রেসিও” বলা যায়। পার্লামেন্ট যে আইন তৈরি করে সেটাই দেশের সবাইকে মেনে চলতে হবে। তবে আপনি কি জানেন ভারতে এমন একটা জায়গা আছে, যেখানে দেশের কোনও আইন মেনে চলা হয় না, বরং সেই গ্রামে নিজস্ব সংসদ নিজস্ব নিয়ম কানুন মেনে চলা হয়। সেই গ্রামটি হল হিমাচল প্রদেশ এর ‘মালানা’ নামক গ্রাম। এই গ্রামে নিজস্ব সংসদ এমনকি নিজস্ব বিচার বিভাগ রয়েছে যেখানে রায় ঘোষণা করা হয়। তবে প্রকৃত কথা এখানে কেন দেশের নিয়ম মেনে চলা হয় না? চলুন আজই প্রতিবেদনে সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
কুল্লু জেলায় উপত্যকা দিয়ে ঘেরা সুন্দর মালানা গ্রামটি বিশ্বের সকল মানুষের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু। যা প্রায় ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এই অনন্য গ্রামটি প্রায়ই তার অদ্ভুত কার্যকলাপের জন্য বিশেষভাবে পরিচিতি পায়। বিশেষত এখানের মানুষেরা নিজেদের আলেকজান্ডারের বস্তর বলে দাবি করে। কথায় আছে, এই গ্রামের মন্দিরে আলেকজান্ডারের যুগে থাকা একটি তলোয়ার রাখা আছে।
এছাড়াও এই গ্রামটিতে অনেক রহস্য এবং ঐতিহাসিক ঘটনার রয়েছে। পর্যটকদের জন্য প্রায় ১৭০০ জনসংখ্যার গ্রামটি অত্যন্ত বিখ্যাত। দেশের সংসদ সভার মতোই এই গ্রামে দুটি বাড়ি রয়েছে যার উচ্চকক্ষে ১১ জন সদস্য রয়েছে এবং যেকোনো ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বাড়িতে। গুরু, পুরোহিত, জামলু দেবতার প্রতিনিধি এই গ্রামের তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। আইনের দিক থেকে এগুলি সম্পূর্ণ স্থায়ী এবং বাকি আট সদস্য গ্রামবাসীদের দ্বারা নির্বাচিত।
এই গ্রামের বাসিন্দারা বহিরাগতদের সাথে খুব বেশি যোগাযোগ রাখতে চান না। কারণ তারা মনে করেন বেশি বহিরাগতদের সাথে যোগাযোগ হলে তাদের নিজস্ব জাতিতে ভেজাল ধরতে পারে। এখানে আইন সংক্রান্ত নিয়ম খুবই কড়া। এখানে কেউ দেওয়াল স্পর্শ করতে পারেনা। এখানে বিয়ের অনুষ্ঠান এমনকি পূজা পার্বন সবই গ্রামের নিজস্ব নিয়মে হয়। এই গ্রাম চরস চাষের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত।