মোদি সরকার প্রতিনিয়ত ভারতকে একটি অন্যতম উন্নতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছেন। তাই অন্যান্য দেশের মতো ভারতকে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী করে তোলার জন্য তিনি সব বিষয়েই নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তেমনই মোদি সরকারের আমলে দেশের ভিতর দ্রুত হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ের বিস্তার ঘটেছে। সরকার এমন ২৬টি হাইওয়ের বিস্তার করছে যেখানে যেকোনও দুর্ঘটনার সময়ই ফাইটার প্লেনও ল্যান্ড করানো যায় (Indian government Change the infrastructure of highways so that any plane or in emergency situation fighter planes can also land there and this will increase employment )।
এই নতুন অভিনব পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে রোজগারের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশ দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেস (Delhi-Mumbai expressway) উপহার পেয়ে গেছে এবং এই দিল্লি-দৌসা সেকশনটি (Delhi-Dousa section) সদ্য উদ্বোধন হওয়া এটা প্রকৃত অর্থে একটি বিশেষ হাইওয়ে (Delhi-Mumbai expressway)। অপরদিকে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকরি (Nitin Gadkari)বলেছেন, আগামী বছর পর্যন্ত মোদী সরকারের লক্ষ্য ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে আমেরিকার বরাবর নিয়ে এসে দাঁড় করানোর, তাই তিনি দেশে আমেরিকার মতো রাস্তা তৈরি করছেন। এছাড়াও আশা করা যাচ্ছে এরপরে প্রচুর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও ভারতকে আমেরিকার সমতুল্য করে তোলা হচ্ছে যাতে, ভারত মালা প্রকল্প, শিল্প ও প্রতিরক্ষা করিডোর, মাল্টি মডেল কানেক্টিভিটি, রেলওয়ে, বিমানবন্দর, বন্দর, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, নৌপথ এবং লজিস্টিকসের মতো ইনফাস্ট্রাকচার রিফর্ম (Infrastructure reform) ধারাবাহিকভাবে দেশের অর্থনীতিকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারেরও অধিক তৈরি করতে সাহায্য করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরির মতে দেশে ইনফাস্ট্রাকচারের বিকাশ ঘটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই বিকাশের ফলেই দেশে আরো নতুন নতুন ইন্ডাস্ট্রির উদ্ভব ঘটবে। বৃদ্ধি পাবে অনেক কর্মসংস্থান এবং দেশ মুক্তি পাবে দারিদ্রতা থেকে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতে তৈরি এক্সপ্রেসওয়ে গুলি কেবল যাত্রা ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করবে তা নয়, সাথে এমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে ফাইটার প্লেনও সেখানে ল্যান্ড করতে সক্ষম হবে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এমনই ২৬ টি হাইওয়ে তৈরির পরিকল্পনায় ব্রত হয়েছেন। এত দুর্ঘটনার সময় খুব সহজেই প্লেন ল্যান্ড করানো যায়।
বলা বাহুল্য, বর্তমানে আমাদের দেশে গাড়ি তৈরির সাথে বিক্রির সংখ্যাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। বিশেষত ইলেকট্রনিক গাড়ির সংখ্যা নির্মাণের সাথে সাথে বিক্রি পরিমাণও দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভারতের সড়ক ইনফাস্ট্রাকচারের উন্নতি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিকতার মধ্যে পরে।