Provident fund(PF) নিয়ে একটি বড় খবর রয়েছে। এবার থেকে আপনার সঞ্চিত অর্থ অর্থাৎ প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) এ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে পড়তে পারে। অর্থাৎ দীর্ঘ চাকরি জীবনের পর অবসর এর সঞ্চিত অর্থের উপর দিল্লির হাত পড়তে চলেছে। আগামী অর্থবছর থেকে এই পথ খুলে ফেলার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। আসুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন।
বাজেট অনুযায়ী বলা হয়েছে, এবার থেকে কোন ব্যক্তি প্রভিডেন্ট ফান্ডে (PF) এ আড়াই লক্ষ টাকার বেশি রাখলেই সেই টাকার ওপর সরকার 10% কর(Tax) বসাবে। সাধারণত কোন ব্যক্তির বেসিক সেলারি এর 12% পিএফ (PF) হিসেবে কাটা হয় । এবং এর সাথে সাথে 12% সংশ্লিষ্ট সংস্থা ওই ব্যক্তি বা কর্মীর নামে জমা করে। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী মোট 24% প্রতিমাসে ওই ব্যক্তি বা কর্মীর নামে সরকারের খাতায় জমা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা এই নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীর কাছ থেকে যে 12% হারে পিএফ কাটা হচ্ছে সেটি মাসে 20,834 টাকা বা বছরে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি হলে সেই টাকার উপর সরকার tax বসাবে।
Provident fund (PF) TAX
তবে কেন্দ্র সরকারের দাবি এই কর (tax) শুধুমাত্র 1% মানুষের উপর বসবে। সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, কোন কর্মীর বেতন থেকে যদি বার্ষিক PF বাবদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা কাটা হয় তাহলে সেই কর্মীর এক লক্ষ টাকার উপর ওই 10% কর (tax) ধার্য হবে। অর্থাৎ যদি ধরে নেয়া হয় বর্তমানে এই এক লক্ষ টাকার উপর ব্যক্তির আয় 8,500 টাকা তাহলে 10 শতাংশ হিসেবে 850 টাকা কর (tax) হিসেবে কাটা হবে। এবং সেই গ্রাহক বা কর্মী 7650 টাকা প্রাপ্ত করবে।
মার্কেট স্পেশালিস্ট নারায়ন জৈন এর বক্তব্য অনুযায়ী, মাসিক যে পরিমাণে প্রভিডেন্ট ফান্ড হিসেবে কাটা হয় তাহলে ব্যাক্তির মাসিক বেসিক স্যালারি হতে হবে দু লক্ষ টাকার বেশি, এবং মাসিক বেতন কমপক্ষে 4 থেকে 5 লক্ষ টাকার ধারেকাছে হতে হবে। তিনি এও জানান যে, বর্তমান সময়ে এই বেতন হাতেগোনা কয়েকটি কর্মী বা ব্যক্তি পেয়ে থাকেন। এই নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্র সরকার সাধারণত উচ্চ আয় করা ব্যক্তি দেরকে এই নিয়মের আওতায় আনতে চলেছে। এই নিয়ম দেশের পক্ষে একটি ভালো পথ।
তবে যে সমস্ত কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) হিসেবে মাসিক কুড়ি হাজার টাকার কম কাটা হয় তাদের এই নতুন নিয়মে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সাধারণত ব্যাংক যেভাবে মেয়াদী টাকার উপর 10% হারে কর কাটে সেই রকমই চলবে।
তবে সাধারণ মানুষের জন্য একটা স্বস্তির খবর যে সাধারণ মানুষের জন্য এই নিয়মটি কার্যকর নয়। অর্থাৎ যারা উচ্চ বেতনের কর্মী তাদের উপরেই এইনিয়মটি লাগু হতে চলেছে।