অবশেষে রাজ্যে বন্ধ হতে চলেছে গুটকা পান মশলা জাতীয় তামাকজাত দ্রব্য। সম্প্রতি এক সমীক্ষা অনুসারে রাজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ এই ধরনের নেশা করেন। ফলে এই নেশা দ্রব্য গুলি লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রিও হয় যথেষ্ট পরিমাণে। এর ফলে একদিকে যেমন বাড়তে থাকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা তেমনি অপরদিকে বাড়তে থাকে গুটকার পিক, পানমশালার থুতুতে দৃশ্য দূষণ।
তবে এবার থেকে আগামী এক বছর পর্যন্ত রাজ্যে বিক্রি করা চলবে না কোনরূপ গুটকা পান মশলা জাতীয় তামাকজাত দ্রব্য। সম্প্রতি এরূপ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। এই নির্দেশিকাতে স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে যে গুটকা ও বিভিন্ন রকম পান মশালার মধ্যে উপস্থিত নিকোটিন মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। এ কথা মাথায় রেখেই মূলত নবান্ন এরূপ নির্দেশিকা জারি করেছে।
২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী আগামী ৭ ই নভেম্বর থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হচ্ছে। বস্তুত এই নির্দেশিকা নতুন নয় সেই ২০১৩ সালেই গুটকা, পান মশলা ও তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নবান্নের নতুন নির্দেশিকা প্রকৃতপক্ষে সেই মেয়াদই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই নতুন নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পৌরসভা জেলাশাসক কলকাতা পুলিশ এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে রেলের গায়ে লেগে থাকা গুটখার দাগ তুলতে প্রতিবছর ১২০০ কোটি টাকা খরচ হয় এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক ধরনের পিকদানিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। কলকাতা ও অন্যান্য জেলার রাস্তার দু পাশেও এমনই হাল দেখা যায়।
রাজ্যবাসীর একটা বড় অংশই চাই সরকার এর বিরুদ্ধে একটা পদক্ষেপ নিক আর নবান্ন এবার সেই নজিরই গড়লো। নবান্নের এরূপ করা সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে বলে আশাবাদী এই নেশাদ্রব্য-এর বিরোধীরা।