দেশে টেলিকম সেক্টরে একটা বড় জায়গা করে নিয়েছে রিলায়েন্স জিও (Reliance jio)। কিন্তু অন্যদিকে রাষ্ট্রতত্ত্ব টেলিকম সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড অর্থাৎ BSNL এর উপর কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। BSNL (Bharat Sanchar Nigam Limited) এর এই দুরাবস্থার জন্য কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করেছে ডিএমকে সংসদ দয়ানিধি মারান। লোকসভা বৈঠকের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। এর ফলে লোকসভায় হই হুল্লোর এর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অবশেষে এই বিষয়ে স্পিকার ওম বিড়লা কে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।
যখন দেশের বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানী গুলি যার মধ্যে রিলায়েন্স জিও রয়েছে তারা 5G পরিষেবা শুরু করতে চলেছে সেখানে রাষ্ট্রীয় সংস্থা BSNL এখনো পর্যন্ত সামান্য 4G পরিষেবা শুরু করতে পারেনি গ্রাহকদের জন্য। এর ফলে BSNL গ্রাহক সংখ্যা হারিয়ে ধীরে ধীরে পঙ্গু হতে চলেছে। BSNL পরিষেবা দিতে না পারার জন্য গ্রাহকরা রিলায়েন্স জিও না হয় অন্যান্য টেলিকম কোম্পানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
BSNL এর এই অবনতির কারণ হিসেবে ডিএমকে সংসদ দয়ানিধি মারান কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছে। তার মতে, রিলায়েন্স জিও এর বাজার বাড়াতেই ইচ্ছে করে BSNL কে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পূর্বতন টেলিকম মন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও বিএসএনএল এবং এমটিএনএল (MTNL) এখনো পর্যন্ত 4G কিংবা 5G পরিষেবা চালুর ব্যাপারে সুবিধে করে উঠতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বয়ং রিলায়েন্স জিও এর পোস্টার বয় হিসেবে কাজ করছেন বলে তার অভিযোগ।
ডিএমকে সংসদের এই বক্তব্য পেশ করার পর লোকসভায় রীতিমতো শোরগোল চালু হয়ে যায়। বিজেপির সাংসদরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে রীতিমত চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যখন চলে যায় তখন স্পিকার ওম বিড়লা এর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তিনি নিজের রাজ্য বা নির্বাচনী ক্ষেত্র সম্পর্কিত প্রশ্ন উপস্থাপনের পরামর্শ দেন। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে গ্রাহকদের জন্য দেশে 4G পরিষেবা শুরু করতে পারে। ও তারপর 5G পরিষেবা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হবে।