“কৃষিকাজ থেকে তেমন ভাল আয় করার কোনো সুযোগ নেই”- অনেকেই এটা মনে করেন। তবে এই চাষের কথা শুনলে আপনাদের এই ধারণা তৎক্ষণাৎ পরিবর্তন হবে। এই চাষ করে আপনিও বাৎসরিক ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।বিশেষত এই করোনাকালে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভাঙ্গনের ফলে অনেকেরই চাকরি চলে গেছে। ফলে এখন বেশিরভাগ মানুষই নতুন নতুন ব্যবসার কথা নিয়ে ভাবছেন। এমন সময়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষও আপনাকে যথেষ্ট মুনাফা এনে দিতে পারে।
অর্থাৎ পারম্পরিক কৃষিকাজের বদলে একটু অন্যধরনের ফার্মিং করলেই আপনারাও প্রচুর পরিমাণে লাভবান হতে পারেন। হ্যাঁ এখানে তেজপাতা চাষেরই কথা বলা হচ্ছে। তেজপাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার ভেষজ গুণ অপরিসীম। তেজপাতা ঔষধি নির্মাণের কাজে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এমনকি আমাদের দৈনন্দিন খাবারে তেজপাতা একটি নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। আমরা নানা পদে তেজপাতার ব্যবহার করে থাকি। স্যুপ, স্টু, মাংস, সামুদ্রিক খাবার এবং শাকসবজি প্রভৃতি রান্নার ক্ষেত্রে তেজপাতা একটি প্রয়োজনীয় উপাদান।
তেজপাতা চাষের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমদিকে পরিশ্রম করতে হবে এবং গাছের যত্ন করতে হবে ঠিকই কিন্তু গাছ একটু বড় হয়ে গেলেই সামান্য পরিচর্যাতেই আপনি লাভবান হয়ে উঠতে পারেন।সাধারণত রাশিয়া, মধ্য আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স, উত্তর আমেরিকা এবং বেলজিয়ামে প্রচুর পরিমাণে তেজপাতার চাষ করা হয়ে থাকে। ভারতের বহু চাষীও নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এই লাভজনক গাছটিকে চাষের জন্য বেছে নিয়েছেন।
সাধারণ হিসেব অনুযায়ী, একটি তেজপাতার গাছ থেকে আপনি বছরে ৩০০০-৪০০০ টাকা অর্থাৎ প্রায় 50 টি গাছ থেকে আপনি বছরে ১.৫- ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এমনকি তেজপাতা চাষের উৎসাহিত করার জন্য জাতীয় ঔষধি উদ্ভিদ বোর্ড কৃষকদের ৩০% অব্দি ভর্তুকি প্রদান করে।