বিয়ার (Beer) সম্পর্কিত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এই ইতিহাস অনেক পুরোনো। মানুষ বিয়ার সেবন করে আসছে প্রাচীন সুমেরীয় সভ্যতার মেসোপটেমিয়া যুগ থেকে। ১৮ শতকের মধ্যেই সারা বিশ্বে এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রাচীন মিশরে হাজার হাজার বছর পূর্বে এই বিয়ার তৈরীর প্রথম কোম্পানি শুরু হয়েছিল। সূর্যের রশ্মির কারণে যাতে বিয়ারগুলি নষ্ট না হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে বাদামি রঙের বোতল গুলি ব্যবহার করা হয় বিয়ার পরিবেশনের জন্য। সারা বিশ্বের এখন মানুষ পানীয় জলের থেকেও বেশি বিয়ার পান করেন। তবে আজ এই প্রতিবেদনে বিয়ার সম্পর্কিত আপনাদের এমন তথ্য দেব, যা আপনাদের কাছে অজানা।
১) হিন্দিতে বিয়ারকে কি বলা হয় জানেন? ‘ইয়াভাসুরা’ (Yavasura) বলা হয়। কারণ বার্লির সংস্কৃত নাম “ইয়াব”এবং বার্লি থেকেই বিয়ার তৈরি হয়। অনেক উপাদান দিয়ে বিয়ার তৈরি হয় এবং ভারতীয় উপমহাদেশে এটি “আব-জাও” নামেও পরিচিত।
২) আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিয়ার কোনটি? স্নেক ভেনম (Snake Venom) বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিয়ার। এটিতে ৬৭.৫ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে। এটি একপ্রকার ব্রিটিশ কোম্পানির বিয়ার।
৩) জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিয়ার কোনটি? প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বের সবচেয়ে দামী বিয়ার হল Allsopp এর Arctic Ale, যার একটি বোতলের দাম US$504,200।
৪) বিয়ারের গুণমান পরীক্ষা করতে, এটিতে যে ফেনা জমে তা সাবধানে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। বিয়ারের উপর জমে থাকাই ফ্যান কাকে বলা হয় বার্ম। এটাই বিয়ারের আসল গুণ।
৫. আমরা আপনাকে বলি যে থাইল্যান্ডে এক মিলিয়নেরও বেশি বিয়ারের বোতলের সাহায্যে একটি মন্দিরও তৈরি করা হয়েছে।
৬) আপনি কি জানেন নেদারল্যান্ড বিয়ারের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়।
৭) ১৯৯২ সালে, বিজ্ঞানী নীল বোর (Nil Bore) যখন নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন, তখন তাঁর সম্মানে তাঁর বাড়ি থেকে বিয়ার সরবরাহ করা হয়েছিল। একই সময়ে, ফিনল্যান্ডে, চ্যাম্পিয়নশিপ রেসের বিজয়ী, তার স্ত্রীকে কোলে নিয়ে, স্ত্রীর ওজনের সমান একটি বিয়ার দেওয়া হয়।
৮) ২০১৩ সাল পর্যন্ত, বিয়ারকে রাশিয়ায় অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হিসাবে বিবেচনা করা হত না।