ভারত একদিকে করোনা নামক মারণ ভাইরাস এর সাথে লড়াই লড়ছে তার মধ্যে মিউকরমাইকোসিস নামক ছত্রাক ঘটিত রোগ বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এর সংক্রমণ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা যাচ্ছে। এই ছত্রাক ঘটিত রোগ অত্যন্ত মারাত্মক। মানবদেহের মস্তিষ্ক ফুসফুস ও সাইনাস কে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা পূর্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও HIV AIDS রোগে আক্রান্ত তাদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
তবে এই ছত্রাক ঘটিত রোগের উৎপত্তি , লক্ষণ,ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় গুলি এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। এই নিয়ে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন। US centres for disease Control and prevention জানিয়েছে এটি সাধারণত পচা পাতার মতো ক্ষয়কারী জৈব পদার্থের মধ্যে পাওয়া একটি ছত্রাক। ছত্রাক টির নাম মিউকরমাইকোসিস। যাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার খুব কম এবং পূর্বে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত কাদের এই ছত্রাক ঘটিত রোগ এ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে যে যেসব করোনা আক্রান্ত রোগী যারা দীর্ঘদিন ICU তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যাচ্ছে এবং তখনই এই ছত্রাক ঘটিত রোগ টি রোগীকে আক্রমণ করছে। এছাড়াও হাসপাতাল ও বাড়ির ময়লা জলযুক্ত অক্সিজেন ট্যাংক গুলি থেকেও এই ছত্রাক ছড়াচ্ছে।
তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট অত্যন্ত ভাইরাল হচ্ছে। এই পোস্টটিতে দাবি করা হচ্ছে যে পোল্ট্রি মুরগি থেকে নাকি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এবং একটি সংবাদ মাধ্যম এর নাম বিকৃত করে এই খবরটি ছড়ানো হচ্ছে। এতে সাধারন মানুষ অত্যন্ত শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা স্বস্তি এর খবর দিয়েছেন। জানিয়েছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগটি কোন মানুষ অথবা পশু পাখির মাধ্যমে ছড়াতে পারে না। বাতাসের মাধ্যমে ছত্রাক ঘুরে বেড়ায় মানুষের শরীরে কাটা অথবা পোড়া জায়গায় বাসা বাঁধে ও সংক্রমিত করে। এছাড়াও যেসব মানুষের ইমিউনিটি পাওয়ার কম তাদের আক্রান্ত করে।