দর্শকরা সিনেমা দেখেন প্রধানত বিনোদনের জন্য। হাসি, কান্না, রাগ, দুঃখ সব অনুভূতিই জাগ্রত হয়ে ওঠে সিনেমা দেখার মাধ্যমে। তবে এমনও কিছু সিনেমা আছে যেগুলি দর্শকদের বিভ্রান্ত করে তোলে। সম্পূর্ণ মাথা ঘেঁটে দেয়। এমন সমস্ত চলচ্চিত্রের জন্য ‘বিচিত্র’ শব্দটি ব্যবহার করাই জরুরী। আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ৫টি অদ্ভুত সিনেমার নাম জানব। যা দেখা মাত্রই আপনি অবাক হবেন।
১) AWE (তেলেগু)
তেলেগু ভাষায় মুক্তিপ্রাপ্ত এই ‘Awe’ সিনেমাটি মনস্তাত্ত্বিক ক্রস ঘরানার চলচ্চিত্র। এই ছবিতে দেখা যায় একটি মহিলা মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডারে ভুগছেন। যার কারণে তাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং লড়াই করতে হয়। অজান্তেই তার নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবিগুলি তিনি অভিনয় করে চলেছেন। পরিচালক প্রশান্ত ভার্মা’র এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নিথ্যা মেনন, রেজিনা এবং কাজল আগরওয়াল। এই সিনেমাটি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিল সেরা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং সেরা মেক-আপের জন্য।
২) নো স্মোকিং (হিন্দি)
অনুরাগ কাশ্যপ (Anurag Kasyap) পরিচালিত ‘নো স্মোকিং’ নামক এই অদ্ভুত সিনেমাটি একজন ধূমপানে আসক্ত মানুষকে ঘিরে। যাকে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করানোর জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয় এবং সেখানে তিনি বাজেভাবে আটকে পড়েন। মুক্তি পাওয়ার জন্য তাকে মোটা অংকের চেক সই করানো হয়, এমনকি খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। এই অদ্ভুত সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন জন আব্রাহাম, পরেশ রাওয়াল এবং আয়েশা টাকিয়া।
৩) কোঠানদী (Kothanodi)
অদ্ভুত ঘরানায় নির্মিত একটি সিনেমা ‘কোঠানদী’ (Kothanodi)। যার মূল গল্প একজন সিজোফ্রেনিক মহিলাকে নিয়ে, যিনি তার সৎ কন্যাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং মেয়েকে ড্রাগনের সাথে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আরেকটি অদ্ভুত ধারণার ছবি ‘আমিস’-এর পরিচালক ভাস্কর হাজারিকা এই সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে ছিলেন আদিল হুসেন ও সীমা বিশ্বাস। এটি একটি অসমীয়া সিনেমা, যা জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছিল।
৪) লুসিয়া (কন্নড়)
এটি এমন একটি অদ্ভুত সিনেমা যেখানে দেখা গেছে এখন দেখতে অনিদ্রায় ভুগছেন। পবন কুমার পরিচালিত এই সিনেমায় ওষুধ সেবন করার পর সেই ব্যক্তির জীবনে বদল আসে এবং থেকে অদ্ভুত অদ্ভুত দৃষ্টি দেখতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে মুক্তি পাবে সিনেমাটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
৫) চুরুলি (মালয়ালম)
এই সিনেমাটি দুই আন্ডারকভার পুলিশের গল্প। ছবিটির পরিচালক লিজো জোসে পেল্লিসারি এবং প্রযোজক ‘জলিকট্টু’। সিনেমায় উপস্থিত দুজন পুলিশ একজন অপরাধীকে ধরতে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে তারা গ্রামে পৌঁছায় এবং একটি অদ্ভুত ধরণের রহস্যবাদ শুরু হয়। সিনেমাটি মনোযোগ সহকারে দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন এটা একে অপরের বিপরীত একটা ঘটনা। সম্ভবত সায়েন্স ফিকশন ফিল্মের মতো।