ভারতের অন্যতম এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হলেন শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata)। তাঁর সহজ সারল্য জীবন যাপনের জন্য তিনি সর্বদাই লাইমলাইটে থাকেন। অনমনীয় চরিত্রের এই মানুষটি ধন, দৌলত, ঐশ্বর্য থাকা সত্বেও সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছেন। কেন টাটা গ্রুপের এই কর্ণধার বিয়ে না করেই রয়ে গেলেন সেই বিষয়ে কিছু অজানা কাহিনী জানবো।
রতন টাটা যখন খুব ছোট্ট তখনই তার বাবা-মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাঁর মা আবার বিয়ে করেন। তখন রতন টাটার সমস্ত দায় দায়িত্ব নেন তার ঠাকুমা। তাঁর ঠাকুমাই তাঁকে শিখিয়েছিলেন মানুষের জীবনের সবথেকে বড় সম্পদ হল সম্মান। আর পাঁচটা সাধারণ যুবকের মত প্রেম এসেছিল বিজনেস টাইকুন রতন টাটার জীবনেও। তিনি প্রেমে পড়েছিলেন কলেজ পেড়োনোর পরে। 1937 সালের 28 ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। প্রথমে তিনি মুম্বাই পড়াশোনা শুরু করেন। তারপর
মার্কিন যুক্তরাষ্টের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম করেছেন। পড়াশুনা শেষ করার পর লস অ্যাঞ্জেলসে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতে যান তিনি। সেখানেই তার প্রেমিকার সাথে আলাপ হয়। আলাপের পরেই ঘনিয়ে ওঠে প্রেম। প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গরাতে গিয়ে একটুর জন্য আটকে যায়।
রতন টাটার বিয়ে যখন প্রায় হবার মুখে হঠাৎ একদিন বাড়ি থেকে খবর পান তাঁর ঠাকুমা অসুস্থ। ঠাকুমাকে দেখতে ভারতে ফিরে আসেন রতন টাটা। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকাও তাঁর সাথে যেন ভারতে আসুক। কিন্তু তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৯৬২ সালে ভারত চীন যুদ্ধ চালায় প্রেমিকার মা বাবা প্রেমিকাকে রতন টাটার সাথে ভারতে আসতে দিতে চাননি। আর ঠিক এই কারণেই রতন টাটার বিয়েও আর সম্পূর্ণ হয়নি। প্রেমিকাকে মন থেকে ভালোবাসার জন্য আজীবনকাল অবিবাহিত রয়ে গেলে এই রতন টাটা।