আবারও মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র NASA (National Aeronautics and Space Administration) ভিনগ্রহীদের দেখতে পাওয়ার জন্য বিশেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিভাবে পৃথিবীর প্রতি ভিনগ্রহী বাসিন্দাদের আকৃষ্ট করা যায় সেই ব্যাপারে জোর কদমে পরিকল্পনা চলছে নাসার। অবশেষে বিজ্ঞানীরা এর জন্য একটি নতুন পথ ব্যবহার করছেন।
খবর সূত্রে জানা গেছে এই ভিনগ্রহীদের দেখতে পাওয়ার জন্য নাসা (NASA) থেকে গবেষণা মারফত সমস্ত প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জানা যায়, ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের আকৃষ্ট করার জন্য পৃথিবীর মানুষদের নির্বস্ত্র ছবি পাঠাতে দেখা গেছে নাসাকে। যাদের প্রতি ওই ভিনদেশী বাসিন্দারা বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়।
প্রায় দেড়শ বছর ধরে এই চেষ্টা চালাচ্ছেন নাসা। বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে জানা গেছে, যখন আমরা কারো সাথে প্রথম দেখা সাক্ষাৎ করি তখন আমরা তাকে হ্যালো বলে সম্বোধন করি। নাসা থেকেও এমন কিছু মহিলা ও পুরুষের ছবি পাঠানো হয়েছে যা দেখে ভিনগ্রহীরা বুঝতে পারেন যে তাদের পৃথিবীতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
ভিনদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যকে ‘বিকন ইন দ্য গ্যালাক্সি’ নামকরণ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু মহিলা-পুরুষদের ছবি নয়, তার সহিত পৃথিবীর মানব দেহের ডিএনএ এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি উপস্থাপন করা ছবিগুলো পাঠানো হয়েছে। যাতে ভিনগ্রহীদের বুঝতে অসুবিধা না হয় যে তাদের কাছে পাঠানো বস্তুগুলো পৃথিবী থেকে এসেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে একপ্রকার সাংকেতিক যেকোনো বার্তা মহাকাশের সেই ভিনগ্রহীদের কাছে পাঠানো হয় যাতে তারা পৃথিবীর বাসিন্দা সম্পর্কে অনেক কিছু ধারনা করতে পারে। এই সাংকেতিক বার্তাগুলি হল “বাইনারি”। এর মাধ্যমে 0 এবং 1 দিয়ে একটি লম্বা বার্তা লিখে ফেলা সম্ভব। তবে এই সংখ্যা দুটি শুধুমাত্র হ্যাঁ কিংবা না, সাদা অথবা কাল এই ব্যাখ্যা গুলো প্রকাশ করতে সক্ষম হয়।