Skip to content

প্রবেশ করেছে পশ্চিমী ঝঞ্জা! বদলাতে চলেছে একাধিক রাজ্যের আবহাওয়ার রূপ

    দেশে শীতকাল শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে নতুন করে আছড়ে পড়তে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আবহবিদদের মতে, তবে রাজ্যে এখন শীতের মতো ঠাণ্ডা পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে।

    উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টি

    এক নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। যার জেরে উত্তর পাকিস্তান এবং সংলগ্ন এলাকা জুড়ে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে।

    Weather

    এর ফলে ভারতের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত জম্মু ও কাশ্মীর, গিলগিট-বালতিস্তান, পাঞ্জাব, লাদাখ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, মুজাফফরাবাদ ও উত্তরাখণ্ডে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও তামিলনাড়ু উপকূলের কাছে উপস্থিত নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের কারণে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল, দক্ষিণ উপকূলবর্তী কর্ণাটক, উপকূল অন্ধ্রপ্রদেশ, কারাইকাল ও পুদুচেরিতে।

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহবিদদের মতে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৩ নভেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কোন কোন জায়গায় কুয়াশার একটু প্রকোপ দেখা গেলেও রাত্রের তাপমাত্রার তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না।

    Western Storm

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়ার দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে সেরকম কোনো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। রাত্রের তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন নেই। তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আরও বলা হয়েছে যে, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে যথাক্রমে প্রায় ৩১ ও ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    Temperature up down

     

    উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (°C)

    বালুরঘাট ২০.২
    বাঁকুড়া ১৮.৮
    পুরুলিয়া ২০.১
    ব্যারাকপুর ২০.৬
    কলকাতা ২০.৬
    বহরমপুর ২২
    শ্রীনিকেতন ১৭.৪
    বর্ধমান ২০
    আসানসোল ১৯.১
    পানগড় ১৮.৯
    ক্যানিং ২১.৬
    দার্জিলিং ৮.৪
    কোচবিহার ১৬.১
    দিঘা ২১.১
    মালদহ ২১.৭
    শিলিগুড়ি ১৭.৪

    এবার অক্টোবর মাসে যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে সাধারনত এর আগে এই বৃষ্টি দেখা যায়নি। এই ভারী বৃষ্টির প্রভাব শীতেও পড়তে চলেছে। অন্যদিকে যে পশ্চিমী ঝঞ্জা ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে দেখা যায় তার ইতিমধ্যেই উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে আগমন ঘটেছে। এইসব এর প্রভাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরো নিচে নামতে পারে বলে অনুমান আবহবিদদের। তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক জায়গাতেই রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান অনুযায়ী, এবছর সময়ের আগেই শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং শীত তুলনামূলক বেশি হবে।