ভারতে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হলো ভারতীয় রেলওয়ে। ভারতের উন্নতির একটি অন্যতম কারণ হলো এই রেলওয়ে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক হল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। ভারতে প্রথম ট্রেন চালু হয়েছিল ১৯ শতকে। ওটা ব্রিটিশ আমলের সময় থেকে শুরু হয়েছিল। এই ট্রেনের কারণেই বহু মানুষ একসঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ট্রেনে ভ্রমণ করা অনেক সুবিধা জনক। প্রায় ৭৩৪৯ টি স্টেশন নিয়ে ১১৫০০০ কিমি এরিয়া জুড়ে বিস্তৃত এই ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। জনমানুষের জন্য ট্রেন অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। প্রতিটি ভারতীয় স্টেশন দিয়েই প্রায় ২০০০০ এর বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ৭০০০ এর বেশি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে।
বিগত কয়েক মাস ধরেই দেখা গেছে IRCTC বা ভারতীয় রেলওয়ে যাত্রীদের সুবিধা প্রদানের জন্য অনেক নতুন নতুন নিয়ম ব্যবস্থা শুরু করেছে। তেমনই সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini vaishnaw) ভারতীয় রেলওয়ের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের জন্য একটি বিশেষ বড় খবর এনেছেন। আসুন এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সেই বিশেষ খবরটি।
রেলমন্ত্রীর টুইটের মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে জানিয়েছেন যে লক্ষ্য করে গেছে একটি বুলেট ট্রেনের থেকেও বন্দে ভারত ট্রেনটির (vande bharat express train) স্পিড অনেক বেশি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন যেখানে জাপানের বুলেট ট্রেনের স্পিড ধরতে সময় লাগে ৫৫ সেকেন্ড, সেখানে আমাদের ভারতীয় এই দুর্দান্ত ট্রেনটি ৫২ সেকেন্ডের ০ থেকে ১০০ মিটার গতিবেগ ধরে নেয়।
ভিডিও স্ক্রিনে দেখা গেছে, ট্রেনের ঠিক জানালার সামনে একটা ফোন এবং একটা জলের গ্লাস রাখা হয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ১৮০ থেকে ১৮৩ কিমি স্পিডোমিটারের রিডিং হয়েছে ১ মিনিটে ভিডিও ক্লিপে। ভিডিওটি দেখা মাত্রই Paytm এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মা এটিকে একটি গর্বের মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন এবং টুইট পোস্ট করে টুইটারে তার আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
বর্তমানে দেশে এই ট্রেন মাত্র দুটি রুট ধরে চলে। তবে শীঘ্রই আরও একটি রুটে পরিচালিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে রুটটি হলো লখনউ-প্রয়াগরাজ-কানপুর। খবর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৫ই আগস্টের মধ্যে ৭৫টি নতুন রুটে বন্দে ভারত চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। রেলমন্ত্রক জানিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি ট্রেনগুলি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তবে এত কিছুর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ট্রেনের ভাড়া। তবে এবার জেনে নেওয়া যাক কোন স্থান থেকে কোন স্থান পর্যন্ত দিতে গেলে কত ভাড়া লাগবে। চেয়ারকারের ভাড়া হিসাবে দিল্লী থেকে কাটরা যাওয়ার জন্য ১৬৩০ টাকা। বেস ফেয়ার হিসাবে ভাড়া ১১২০ টাকা। রিজার্ভেশন এর জন্য ৪০ টাকা। খাবার জন্য ক্যাটারিং চার্জ হিসাবে ৩৬৪ টাকা। ৪৫ টাকা সুপারফাস্ট-এর জন্য এবং ৬১ টাকা জিএসটি। এসি ক্লাসের জন্য মোট ৩০১৫ টাকা দিতে হবে। বেস ফেয়ার ২৩৩৭ টাকা। রিজার্ভেশন চার্জ ৬০ টাকা। ১২৪ টাকা জিএসটি ও ক্যাটারিং চার্জের জন্য ৪১৯ টাকা আর ৭৫ টাকা সুপারফাস্ট চার্জ।