এখনো পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু এবং উন্নত মানের চালের ভাত খেয়েছি। ভারতে উৎপাদিত বাসমতি চালের দাম সবচেয়ে বেশি। তবে আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান চাল কোনটি? জানিয়ে রাখি, বিশ্বের এমন একটা দেশ রয়েছে যেখানে গ্রীষ্ম এবং মরুভূমিতে একপ্রকার ধান জন্মায়।
তবে এমন এক দেশে ধান জন্মায় যা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেন না। এর দাম সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রতি কেজি চালের দাম ৫০ সৌদি রিয়াল অর্থাৎ এই নাম ভারতীয় টাকায় রূপান্তরিত হলে প্রতি কেজি চালের দাম হবে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা।
অতিরিক্ত দাম হওয়ার ফলে বাজারে মাঝারি মানের এই চাল বাজারে বিক্রি হয়। যার দাম ৩০-৪০ রিয়াল অর্থাৎ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। এই দামে আমাদের দেশে সাধারণ মানুষ এক মাসের চাল কিনে নেন। এই চাল দেখতে লাল রঙের হয়। এই চালের বীজ রোপন করা হয় গ্রীষ্মকালে এবং নভেম্বর ডিসেম্বর করে ফসল কেটে নেওয়া হয়। বিশেষত আরবে বিরিয়ানি তৈরি করার জন্য এই মূল্যবান চাল ব্যবহার করা হয়।
ধানের রঙ লাল হওয়ায় এই চাল লাল চাল বলা হয় (Red Rice)। কথিত আছে, বৃদ্ধরা যদি এই চালের ভাত খান তবে তাদের শরীর ও মন সুস্থ এবং সতেজ থাকবে সাথে তারা যৌবনতা ফিরে পেতে পারেন। এই ধান চাষ করতে গেলে সপ্তাহে পাঁচ দিন জলসেচের প্রয়োজন হয়। ভালোভাবে এই ধানের ফলন ফলাতে প্রচুর পরিশ্রমের সাথে যত্ন করতে হয়। এই ধরনের ধানকে “হাসাওয়াই রাইস” (Hasawai Rice) বলে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ধান ভালোভাবে উৎপন্ন হতে পারে। চাষের সময় ধানের শিকড়গুলি সব সময় জলে ডুবিয়ে রাখতে হয়।
সৌদি আরবে এই উন্নতমানের ধান খুবই চাষ হয় কারণ এখানে শেখরা এই ধান খুব পছন্দ করেন। মরুভূমিতে জন্মানো এই ধানের চাল খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিসম্পন্ন বলে মনে করা হয়। মরুভূমিতে তাপমাত্রা খুব বেশি হওয়ায় এই ধানের চাষ ভালো হয়।