বর্তমান জেনারেশনের প্রত্যেকটা দেখা যাচ্ছে চাকরি করার থেকেও বেশি যেকোনো ব্যবসা শুরু করে সফল হতে চান। আর এই দিক থেকে অর্থনৈতিক স্ট্যাটিস্টিক লক্ষ্য করে দেখা গেছে যে সময় ধরে চাকরির থেকে ব্যবসার প্রতি ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া মানুষেরা অত্যন্ত বেশি সফলতা লাভ করেছেন। আপনি যদি মনে করেন নিজে একটি নতুন স্টার্টআপ শুরু করার কথা ভাববেন, তাহলে এই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন। আমরা এই প্রতিবেদনে এমন একটি বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করতে চলেছি যা আপনিও মনোযোগ দিয়ে শুরু করলে কিছু মাসের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে উঠবেন। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আমরা সকলেই জানি আখ চাষের জন্য পশ্চিম উত্তর প্রদেশ অঞ্চল অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই এই স্থানটিকে সুগার বাউলও বলা হয়ে থাকে। যোগী সরকার অন্য চাষে উৎসাহিত করার জন্য পশ্চিম উত্তর প্রদেশ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য উদ্যান মিশন অভিযান চালাচ্ছে। এই আওতায় কৃষকদের ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। এমন সময় কৃষকরা উদ্যান চাষের দিকে ঝুঁকেছেন নিজেদের আয় আরো দ্বিগুণ করতে। ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ ছেড়ে দিয়ে কৃষকরা এখন ভালো পরিমানে টাকা অর্জন করছেন। এই মিশরের আওতায় কৃষকরা বর্তমানে ড্রাগন ফলের চাষের দিকে ঝুঁকেছেন।
খবর শুনতে জানা গেছে, মেরেঠের প্রগতিশীল কৃষক শচীন চৌধুরীর পরিবারেরা বছরের পর বছর তাদের প্রধান ফলন আখের চাষ ছেড়ে দিয়ে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন। শচীনের মতে গুজরাট থেকে গত এপ্রিলেই তিনি ১৬০০ টি চারা এনে এক একর জমিতে যেগুলি রোপন করেছিলেন তাতে মোট ৪০০ টি পোল দাঁড় করানো হয়েছিল। চারটি করে চারা ক্যাকটাস প্রতিটি পোলে লাগানো হয়েছিল।
সে আশা রাখছে যে খুব শীঘ্রই এই চারাগুলি থেকে ড্রাগন ফল উৎপাদিত হওয়া শুরু হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে এক একর ড্রাগন ফল চাষ করার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আর বাজারে এই ফলের এক টুকরোর নাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এই ফলের উৎপাদনের সময় এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস অবধি। শচীনের মতে তিনি পঞ্চম বছর থেকে বার্ষিক প্রতি আয় করবেন আট লক্ষ টাকা। এই ফল গাছের জীবনকাল ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হয়।
এছাড়াও এই কৃষক শচীন হ্রাস পাওয়া জলস্তর দেখে জল সংরক্ষণ করার জন্য একটি বিশেষ উপায় আবিষ্কার করেছেন। তিনি ড্রিপ সেচের পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন এই ফলের জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য। এর ফলের জল সংরক্ষণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংরক্ষণ হয়। এই কৃষক জানিয়েছেন তিনি দিল্লির গাজীপুর মন্ডি ও অন্যান্য বড় বড় মন্ডিতে ড্রাগন ফল উৎপাদন হওয়ার পর সুতি বিক্রির জন্য ভালো উপার্জন করতে পারেন।
জেলা উদ্যান আধিকারিক গাম্পল সিং জানিয়েছেন, মীরাটের কৃষকদের জন্য ড্রাগন ফলের চাষ একটি ভাল সংকেত। উদ্যান চাষ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের অনুদানও প্রদান করা হচ্ছে। বাজারের এই ফল অত্যন্ত চড়া দামে বিক্রির ফলে চাষিদের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।