পৃথিবীতে যেমন একাধিক পশু-পাখি আস্তে আস্তে অবলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তেমন পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গাও রয়েছে যা অবলুপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। এমন অনেক স্থান রয়েছে যা আর কিছু বছরের মধ্যেই মানচিত্র থেকে চিরতরে মুছে যাবে। আপনার এবং আমার অতি পরিচিত এই স্থানগুলির ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সামনেই যা ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক কোন কোন স্থান এমন রয়েছে যা, আর কিছু বছরের মধ্যেই আমাদের দৃষ্টিগোচর হবে না আর।
মাজুলী দ্বীপ: ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে বিস্তৃত এই দ্বীপে একসময় ২৬০ টির বেশি প্রজাতির পাখি দেখা যেত। মাটি অবক্ষয়ের কারণে ধীরে ধীরে এই দিকটি জলের তলায় তলিয়ে যাচ্ছে এবং মনে করা হচ্ছে আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে একেবারেই বিলীন হয়ে যাবে এই দ্বীপ।
সুন্দরবন: এই নামটির জন্য হয়তো আপনি বা আমি কেউই প্রস্তুত ছিলাম না কিন্তু এটি সত্যি। অনেক বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থান সুন্দরবন পরিবেশ দূষণ এবং পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
লাদাখের হ্যামিস ন্যাশনাল পার্ক: স্নো লেপার্ড নামে পরিচিত এই পার্কে লেপার্ডের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে ফলে অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবার মুখে।
হিমাচল প্রদেশের সিমলা সিভিক সেন্টার: একসময় এখানে একটি সুন্দর টাউনহল ছিল কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই ভবনটি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।
তাজমহল: পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম তাজমহল আজ সংকটের মুখে, যা ভারতের ইতিহাসের জন্য একেবারেই সুখকর কোন ঘটনা নয়। যে কাঠের উপর তাজমহল তৈরি করা হয়েছে সেটি যমুনার জল থেকে শক্তি পায়। ধীরে ধীরে যমুনার জল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে তাজমহলের গোড়ায় পোকামাকড় দেখা দিচ্ছে। যমুনা নদী সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়বে তাজমহলও।