আগে আমরা উপহাস, ব্যঙ্গ কথাটি শুনতে পেতাম বইয়ের পাতায়। এখন কালের নিয়মে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই কথাই পাল্টে হয়েছে মিম (Meme)। এই শব্দটি এখন আমাদের কাছে ভীষণ পরিচিত একটি শব্দ। ফেসবুক থেকে টুইটার সর্বত্র কোন না কোন বিষয়ে মিম তৈরি হতে দেখি আমরা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই মিমের শুরু কখন এবং কিভাবে হয়েছিল?
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, এই মিম নামক যে বস্তু নিয়ে এত মাতামাতি তার সূচনা কিন্তু ১০০ বছরেরও আগে হয়েছিল। তখন এক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া একটি কার্টুনকে প্রথম মিম বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কি এমন কার্টুন যাকে মিম বলে ধরে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? এই মিম (Meme) শব্দটির উৎপত্তিই বা কোথা থেকে এলো?
১৯৭৬ সালে দ্যা সেলফিস জিন, নামক একটি বইতে প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন লেখক রিচার্ড ডকিন্স। লেখকের মতে, একটি ছবির মাধ্যমে যখন কোন ধারণা একজনের মন থেকে অন্য জনের মনে ছড়িয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় মিম (Meme)। পরবর্তীকালে অক্সফোর্ডের ইংরেজি অভিধানেও এই শব্দটি জায়গা করে নেয়। অক্সফোর্ডের অভিধান অনুযায়ী মিম শব্দের মানে কোন ভিডিও বা ছবি বা লেখা যখন ইন্টারনেটে বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেগুলি যখন আলাদা অর্থ বহন করে তখন তাকে বলা হয় মিম।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশারদরা ১৯২১ সালে ছাপা একটি কার্টুনকে প্রথম মিম বলে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। যদি না দেখে থাকেন তাহলে এখনি দেখে নিন সেই ছবিটি। ১৯২১ সালে expectation versus reality, নামে ছাপা হয় এই কার্টুন যাকে প্রথম মিম বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। এই মিম ছাপা হয়েছিল ভিস্কনসিন অক্টোপাস নামক একটি পত্রিকায়। এই পত্রিকার কার্টুন শিল্পীরা নিজেদের সময় থেকে অনেকটাই এগিয়েছিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।