ভারতের উন্নতির অপর নাম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এটি একটি সেমি হাই স্পিড যা অতি সহজে এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছে দেবে আপনাকে। এই ট্রেনের পরিষেবা নিয়ে ভীষণ খুশি যাত্রীরা। ট্রেনের সব থেকে বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল ট্রেনের হাই স্পিড। আজ বন্দে ভারত সম্পর্কে এমন অনেক অজানা কথা আপনাকে বলব যা হয়তো শুনলে আপনি চমকে যেতে পারেন।
মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের অধীনে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রাথমিক নাম ছিল T-18। মাত্র ১৮ মাসে প্রস্তুত করা হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটির দরজা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়, অনেকটা মেট্রো ট্রেনের মত। ট্রেনটিতে সম্পূর্ণ এসি কোচ। ১৬ টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার কোচ রয়েছে এই সম্পূর্ণ ট্রেনটিতে। এই ট্রেনের মধ্যে উপস্থিত কোচগুলোতে এক্সিকিউটিভ এবং ইকোনমি ক্লাসের বিকল্প রয়েছে।
এক্সিকিউটিভ ক্লাসের বিশেষজ্ঞ হল এই কোচের চেয়ারগুলি রিভলফভিং হয়। হঠাৎ চেয়ার গুলি ১৮০° পর্যন্ত ঘুরতে পারে। ইকোনমিক ক্লাসের চেয়ার গুলি একটি জায়গায় স্থির অবস্থায় থাকে। ট্রেনটির গতি ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার যদিও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেনটি প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলে। যদিও অনেক সময় ট্রেনটি সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বও অতিক্রম করেছে ইতিমধ্যেই।
সব থেকে মজার ব্যাপার হলো, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতে তৈরি প্রথম ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন। আমাদের ভারতে প্রায় সব ট্রেনে একটি পৃথক ইঞ্জিন কোচ থাকে কিন্তু এই ট্রেনটি এমন একটি ট্রেন যেখানে আলাদা করে ইঞ্জিন কোচ নেই। লোকোমোটিভ ছাড়া ইঞ্জিনবিহীন বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানোর জন্য যে সিস্টেম প্রয়োজন হয় তা এই ট্রেনের বগিগুলোতে লাগানো থাকে তাই আলাদা করে ইঞ্জিন বগির দরকার হয় না। তবে এই সিস্টেমগুলি চালানোর জন্য ট্রেনে সব সময় দুই বা তার বেশি লোক পাইলট উপস্থিত থাকেন। এবার থেকে যদি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাতায়াত করেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলি খেয়াল করবেন।