Skip to content

১ কেজি এই আমের দামে কিনে নিতে পারবেন iPhone ! কেন এই আমের এত দাম, কি এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই আমে?

গরমের তাপদাহ যখন আমাদের অতিষ্ট করে তুলতে চলেছে ঠিক তখনই আমাদের কিছুটা স্বস্তি এনে দেবে আম (Mango)। ফলের রাজা এই আমের অনেক রকম জাত পাওয়া যায় আমাদের ভারতবর্ষে। এর মধ্যে রয়েছে তোতা পাখি, দশে হরি, ল্যাংড়া, বাদাম, ফজলি,কেসার, চৌসা এবং হাপুসসহ আরও অনেক জাতের আম রয়েছে সারা ভারত বর্ষ জুড়ে। প্রতিবছর প্রায় কয়েক হাজার কেজি আম আমাদের ভারতবর্ষে আমদানি এবং রপ্তানি করা হয়। বিদেশি ভারতীয়রা এই আম আমদানি করে থাকেন ভারত থেকে।

Mango

তবে আজ এমন একটি আমের সম্পর্কে আমরা কথা বলব যার প্রতি কেজি ১০০ বা ৫০০ টাকায় নয়, ১০০০ টাকাতেও নয় বরং এই আম প্রতি কেজি বিক্রি হয়, আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে। কি এমন আম, যার দাম প্রায় সোনার থেকেও বেশি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।এই আম প্রধানত পাওয়া যায় মধ্যপ্রদেশে। নিলামে প্রতি কেজি আম আড়াই লক্ষ টাকা টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এক কেজিতে পাওয়া যায় পাঁচ টি আম অর্থাৎ একটি আমের দাম প্রায় ৪ হাজার টাকা।

Mango

এই বহুমূল্যবান আমটির নাম মিয়াজাকি (Miyazaki Mango), যাকে বলা হয় বিশ্বের সবথেকে দামি আম (Most Expensive Mango In The World)। এটি একটি জাপানি জাতের আম যার উজ্জ্বল রং এবং ডিমের মতো আকৃতির কারণে একে বলা হয় সূর্যের ডিম। এটি সাধারণত এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ফলে এবং পাকলে বেগুনি থেকে লাল রঙের হয়ে যায় এই আম।

Mango

ভারতবর্ষের কোটার কৃষক শ্রী কিষান সুমন মরুভূমিতে এই আমের চারা রোপন করেছেন কিছু বছর আগে। পাঁচ বছর ধরে তিনি এই আম গাছ চাষ করেন। এখনো পর্যন্ত এই চাষী ৫০ টি গাছ বিক্রি করেছেন এবং ১০০টি গাছের অর্ডার রয়েছে এখনই। শ্রী কিষান ছাড়াও মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক কৃষক এই আমের চাষ করেছেন যিনি গত বছর দুটি গাছ রক্ষা করার জন্য তিনজন নিরাপত্তারক্ষী এবং ছয়টি কুকুর রেখেছেন। বোঝাই যাচ্ছে, এই আমের জনপ্রিয়তা কতটা।

Mangoes

মিয়াজাকি (Miyazaki Mango) আমের গড় ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। সাধারণ আমের তুলনায় এই গাছের আমের মিষ্টতা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন এবং ফলিক এসিড যা আমটিকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে তুলেছে। সারা বিশ্বের মধ্যে জাপান ছাড়াও এই আম জন্মায় ভারত বাংলাদেশ থাইল্যান্ড এবং ফিলিপিনসে। ২০২১ সালে জাপানি ২.৭ লক্ষ টাকার বিনিময় দুটি আম নিলাম করা হয়।