বর্তমানে কৃষকরা যে কোন চাষের ক্ষেত্রেই প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এইজন্য তারা কৃষি কাজ ছেড়ে অন্য কোন পেশাতে যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই সমস্ত কৃষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য এমন একটি গাছের চাষ করা সম্পর্কে বলবো যাতে তারা অনেক লাভবান হতে পারবেন। কি সেই গাছ আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আমরা যে গাছটির কথা বলছি সেটি হল চন্দন গাছ। এই চন্দন গাছ চাষ করে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব এবং লাভের হারও অনেক। যদিও সরকার এই গাছ এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কিন্তু সরকার কৃষকদের কাছ থেকে এই গাছ ভালো টাকা দিয়ে কিনে নেয়।
আসুন চন্দন গাছ ও এর রোপণ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চন্দন গাছের চাহিদা অনেক। কারণ পৃথিবীতে চন্দন গাছের উৎপাদন খুব কম। তাই চন্দন গাছের দাম অনেক। তাই আপনারা যদি চন্দন গাছের উপর বিনিয়োগ করেন তবে এর থেকে প্রাপ্ত লাভ বিনিয়োগের থেকে বহুগুণ বেশি পাবেন।চন্দন গাছ সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে রোপন করা হয় একটি হল জৈব পদ্ধতি ও অন্যটি হলো ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে রোপন।
জৈবিক পদ্ধতিতে চন্দন গাছ হতে প্রায় 10 থেকে 15 বছর সময় লেগে যায়। অন্যদিকে সনাতন পদ্ধতিতে সময় লাগে কুড়ি থেকে পঁচিশ বছর। গাছটি যখন প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ ছোট অবস্থায় থাকে তখন এটিতে পশু ও পোকামাকড়ের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তার এই পর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণের পক্ত ব্যবস্থা থাকা দরকার।
চন্দন গাছের ব্যবহার ও ব্যবসায়িক মূল্য।
চন্দন গাছের কাকে রয়েছে সুগন্ধি বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য সুগন্ধি দ্রব্য প্রস্তুতিতে চন্দন গাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে এর বিশেষ চাহিদা রয়েছে। চন্দন গাছ সাধারণত 3 থেকে 7 হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এমনকি কখনো কখনো 10 হাজার টাকা প্রতি কেজি দর উঠে যায়।
চন্দন গাছ লাগানোতে যদি আপনি 3 লাখ টাকাও বিনিয়োগ করেন সেক্ষেত্রে আপনি প্রাপ্ত লাভ এর থেকে বহুগুণ বেশি পাবেন। ওই পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত লাভ পেতে পারেন।