Skip to content

মোদী সরকারের মাস্টারস্ট্রোক! পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর জন্য GST-র প্রস্তাব কেন্দ্রের

দেশজুড়ে পেট্রোল -ডিজেলের দাম দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। এর ফলে বিরোধী দল বিরোধিতার ভালো বিষয় পেয়েছে। অন্যদিকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ইঙ্গিত দিলেন খুব শীঘ্রই পেট্রোপণ্য জিএসটি (GST) এর আওতায় আসবে। এর ফলে আমজনতার অনেক সুবিধা হবে। জিএসটি এর আওতায় আনার সিদ্ধান্তটি জিএসটি কাউন্সিল কে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী নন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও এর আগে পেট্রোল যত পণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে চায় বলে জানিয়েছিলেন।

 

পেট্রোল

 

তিনি জানান পেট্রোপণ্যের দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি সত্যি আশঙ্কাজনক। এর দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এক হতে হবে। তাই পেট্রোলজাত পণ্যকে জিএসটি এর আওতায় আনা উচিত।তবে জিএসটি আওতায় আনার সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভরশীল রয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের ওপর।
কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তাই এই বিষয়টি সম্পূর্ণ কেন্দ্র সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল নয়। কারণ শুধুমাত্র কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তীতে রাজ্যের প্রতিনিধিরা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জিএসটি কাউন্সিলের উপর দেওয়া উচিত।

 

পেট্রোল

 

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ জনগণের জন্যে সত্যিই সমস্যার বিষয়। এবিষয়টি কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও বোঝা উচিত। ইতিমধ্যে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান ও ছত্রিশগড় রাজ্য পেট্রোলের উপর রাজ্য কর (state tax) ছাড় দিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত অসম করোনা কালে পেট্রোল ও ডিজেল জাত পণ্যের উপর যে অতিরিক্ত সেস বসিয়ে ছিল তা প্রত্যাহার করেছে।অন্যদিকে মেঘালয় সরকারও এক ধাক্কায় অনেকটা দাম কমিয়ে দিয়েছে পেট্রোল ও ডিজেল জাতীয় পণ্যের উপর।

 

পেট্রোল

 

পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের এক টাকা করে সেস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গতকাল। অর্থাৎ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত প্রায় 18 টি রাজ্যে পেট্রোল পণ্যে VAT কমিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকার গুলি সাধারণ জনতার কথা মাথায় রেখে সাধ্যমত ট্যাক্স কমাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত সেই রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন দেখার বিষয় পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি কতদূর ও কতদিন পর্যন্ত চলতে থাকে। সাধারণ জনতার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার কে একটি কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।