সারা বিশ্বের লেনদেনের জন্য টাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যে যুগ তাতে টাকা সম্পত্তিই মানুষের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান আর এই লেনদেনের জন্য সমস্ত দেশে আলাদা আলাদা মুদ্রা রয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের নোট হয়েছে। নোটগুলি ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এগুলির নকশা বিভিন্ন ধরনের। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০০ টাকার সব নোটগুলোর পিছনে রয়েছে অসংখ্য ছবি। তবে আপনারা কি জানেন সেই ছবিগুলো কিসের? ১০০ টাকার নোটের পিছনে যে পাহাড়টির ছবি আছে তার নাম কি জানেন (Indian 100 Rupee Old Note)? শোনো না যে প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক সেটা কোন পাহাড়।
আমরা প্রত্যেকেই জানেন এই মুহূর্তে বাজারে দুই ধরনের ১০০ টাকার নোট রয়েছে। একটি পুরনো নোট আর একটি নতুন নোট। নতুন নোটটি ২০১৮ সালের নোট পরিবর্তনের পর শুরু হয়েছিল। ভারতের প্রত্যেক নোটের সামনের দিকে রয়েছে গান্ধীজির ছবি। এই ১০০ টাকার নতুন নোটের পিছনে রয়েছে একটি গুজরাটের ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য ‘রানি কি ভাব’ (Rani Ki Vav) এবং পুরোনো নোটের পিছনে একটি পাহাড়ের ছবি রয়েছে।
অনেকেই হয়তো পুরনো ১০০ টাকার নোটের পিছনে বরফাবৃত পর্বতশৃঙ্গ লক্ষ্য করেছেন। এটা দেখে অনেকেই হয়তো মনে করেন এটা কৈলাস পর্বত। তবে এটা একেবারেই ভুল। সম্ভবত বহু মানুষ এই পাহাড়টির নাম জানেন না ১০০ টাকার পুরনো নোটের পিছনে দেখতে পাওয়া এই পাহাড়টির নাম কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchanjangha), যা পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ (World’s Third Highest Mountain)।
তবে কেন ১০০ টাকার পুরনো নোটের পিছনে কাঞ্চনজঙ্ঘার স্থান পেল তা কি জানেন? আসলে ৮,৫৮৬ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন এই পর্বতটি অবস্থান করছে সিকিম রাজ্যের নর্থ-ইস্ট ভারত ও ইস্টার্ন নেপালের বর্ডারে। এই নোটে যে পাহাড়ের অংশটি দেখা যায় তা দক্ষিণ দিকে গোচেলা পাস থেকে চোখে পরে। এছাড়াও জানিয়ে রাখি ১০০ টাকার নোটে ইংরেজি, হিন্দি, সংস্কৃত, বাংলা, গুজরাটি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কোঙ্কনি,উর্দু, মারাঠি, নেপালি, অসমীয়া, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি,, তামিল, তেলেগু এবং মালয়ালাম এমন মোট ১৭টি আঞ্চলিক ভাষার উল্লেখ রয়েছে।