Skip to content

জমি ছাড়াই বাড়িতেই শুরু করুন এই চাষ, মাস শেষে লাখ টাকা পর্যন্ত করুন মুনাফা!

img 20230115 234048

২০২০ সালের ভয়াবহ মহামারী করোনার সময় থেকেই প্রত্যেকে নিজেদের খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে সাথে যাবতীয় বিষয়েও সতর্ক হয়েছেন। বর্তমানে মানুষ নিজেদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাইক্রোগ্রিন অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করেছেন, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো।

Plant

ফলে এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। মাইক্রোগ্রিন চাষ করার খুবই সহজ কিন্তু সবাই তা পারে না। তবে আপনি কি জানেন এই চাষের ব্যবসা আপনি ঘরেতেই শুরু করতে পারেন। একবার মাইক্রোগ্রিন চাষের ব্যবসা সফল হলে প্রতিমাসে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারেন।

এবার জেনে নিন মাইক্রোগ্রিন (Microgreens) কি?

Microgreens

কোনও উদ্ভিদের প্রথম দুটি শাখাই এই নামে পরিচিত। এগুলি আকারে ছোট হতে পারে তবে উপকারের ক্ষেত্রে অনেক ভালো। উদ্ভিদের এই শাখা গুলির বিশেষত্ব হলো দুটি ছোট অঙ্কুর মাইক্রোগ্রিন হিসাবে খাওয়া যাবে না। আপনি মাইক্রোগ্রিনের মূলা, সরিষা, মুগ, পালং শাক, লেটুস, মেথি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, গাজর, মটর, বীটরুট, গম, ভুট্টা, তুলসী, ছোলা ইত্যাদি খাবারগুলি খেতে পারেন।

কিভাবে বৃদ্ধি পায় মাইক্রোগ্রিন (Microgreens)?

Green plants

৪-৬ ইঞ্চি গভীর ট্রে মাইক্রোগ্রিন বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও বাজার থেকে মাইক্রোগ্রিন বাড়ানোর জন্য আপনি বিশেষ ধরনের ট্রে পেয়ে যাবেন। আপনি যদি নিজস্ব ব্যবসায়ী হিসেবে এই চাষ করতে চান তবে বাড়ির আশে পাশে থাকা খাবারের প্যাকেজিং ক্যানও ব্যবহার করতে পারেন। কম্পোস্ট যোগ করার পূর্বে কিছু মাটি বা পাত্রের মিশ্রণ দিয়ে এটি ভরাট করে নিন। এরপর বীজ দেওয়ার পূর্বে জল ছিটিয়ে মাটির একটি পাতলা স্তর তৈরি করতে হবে। তারপর অন্য একটি পাত্র দিয়ে উপর থেকে তা ঢেকে দিলে বীজগুলি ২-৭ দিনের মধ্যে সঠিক তাপমাত্রায় অঙ্কুরিত হবে। এরপর ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে।

Plant

এই চাষ করার যথেষ্ট সুবিধা। আপনি আপনার বাড়ির ঘরে কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে এই চাষ করতে পারেন এবং এটি করার জন্য খুব বেশি সময় অতিবাহিত হয় না এবং এর প্রস্তুত কার্যও খুব সহজ। এই চাষে সফল হলে আপনি মাসে প্রচুর টাকা প্রচার করতে পারবেন। এই মাইক্রোগ্রিন চাষে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হল – যদি কোন কারনে ফসল নষ্ট হয়ে যায় তাহলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই আবার সেই ফসল তৈরি হবে। এছাড়াও সবচেয়ে উপকারী বিষয় হলো নিজের ঘরের ভিতরে এই চাষ করলে রোগের উপশম হয়, সাথে সহজেই পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।