প্রকৃতপক্ষে, যা নিয়ে আজকের প্রতিবেদন এই বিষয়টি হল ইউনিভার্সিটি অফ রোচেষ্টারের একজন গবেষণা এসি স্পেস সিটির কল্পনা করেছিলেন। তবে ২০২০ সালে ভয়াবহ কোরোনা সময় মহামারীর কালে লকডাউন হয়ে যাওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে যায় এই কাজ। তবে যে পরিকল্পনাটি করা হয়েছিল তা বৈজ্ঞানিক কাজের থেকে কোনও অংশে কম নয়।
বর্তমানে পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি। যদি এই দরুণ কখনো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায়, তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই এখন থেকে ভেবে রাখছে কিভাবে অন্য গ্রহে এস্টেরয়েডে বসতি স্থাপন করবে। তবে আজ এই প্রতিবেদনে আমরা এমন একটি নতুন শহর স্থাপনের কথা বলব, যা চাকার মতো অনবরত ঘুরে চলেছে। তবে এই কথা মাথায় এলেই ভয় করে কারণ যদি এমন শহরে বসবাস করতে হয়, তাহলে তো মাথা ঘুরে পরে যেতে হবে।
এমনই এস্টেরয়েডে শহর নির্মাণের ডিজাইন শুরু করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ রোচেস্টারের পিএইচডি পিটার মিক্লাউইক (Peter Miklawik, PhD, University of Rochester)। তিনি জানিয়েছেন, এই শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনাটি ভবিষ্যতে সকলের জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে। এই প্রজেক্ট গড়ে তোলার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়াররাই নিজেদের মাথা খাটিয়ে গড়ে তুলতে পারবেন কাছাকাছি এস্টেরয়েডের কোনও শহর।
পিটার জানিয়েছেন, “বর্তমানে পরিকল্পিত এই শহরটি প্রায় ৫৭ বর্গ কিলোমিটারের হবে। এটি যেকোনও স্পেস রক বা এস্টেরয়েডে তৈরি করা সম্ভব হবে যদি তা ১০০০ ফিট লম্বা ও চওড়া হয়। তারপর গোলাকার ছিদ্র বানিয়ে তৈরি করা হবে শহর এবং এমন ভাবেই তৈরি করা হবে যাতে মাধ্যাকর্ষণের কারণে শহরের বিল্ডিং গুলি একটি অপরটির উপর পরে যায়। ভবিষ্যতে মানুষ যাতে মহাকাশে বসতি স্থাপন করতে পারে সেই কারণেই আমরা এমন বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই শহর নির্মাণের আইডিয়া নেওয়া হয়েছে O’Neill Cylinder-এর কনসেপ্ট থেকে। পূর্বে ১৯৭২ সালে জেরার্ড ও’নিল নামে নাসার একজন পদার্থবিদ দুটি সিলিন্ডারের মধ্যে একটি শহর গড়ে ওঠার পরিকল্পনা করেন। তার পরিকল্পনায় শহরটি সম্পূর্ণ ভারসাম্য পেয়েছিল কারণ সিলিন্ডারগুলো একে অপরের বিপরীত দিকে ঘুরতো।