ভারতবর্ষে দৈনন্দিন জীবনে যাতায়াত মাধ্যমের ক্ষেত্রে ভারতীয় রেল (Indian railway) বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গোটা ভারতবর্ষে যাত্রীরা যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হিসেবে রেলপথ কে বিশেষ পছন্দ করেন। কারণ ট্রেনে যাত্রা যেমন আরামদায়ক তেমনি সাশ্রয়ী। কোথায় বলতে গেলে রেলপথ ভারতীয়দের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
ভারত এর রেলের নেটওয়ার্ক বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সেই ব্রিটিশ আমলে 1853 সালে প্রথম ভারতবর্ষে রেলের সূচনা। আজ ভারতবর্ষে 7349 টি রেল স্টেশনে প্রায় 1,15000 কিলোমিটার এরিয়া জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রেল নেটওয়ার্ক। স্টেশন গুলি থেকে বর্তমানে 7000 এর বেশি মালবাহী ট্রেন এবং কুড়ি হাজারের বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। আপনি এই পরিসংখ্যান দেখে বুঝতেই পারছেন ভারতবর্ষে রেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল মাঝেমধ্যেই তাদের নিয়মের পরিবর্তন করে থাকে। এই সমস্ত নতুন নিয়ম গুলি যাত্রীরা অনেকেই জানেন না। সম্প্রতি ভারতীয় রেল বিশেষ কয়েকটি নিয়ম এনেছে ও পরিবর্তন করেছে। যে সমস্ত নিয়ম গুলি যারা আপনার জরুরী। এই নতুন নিয়মটি ভারতের সিনিয়র সিটিজেনদের (senior citizens)জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
সিনিয়র সিটিজেন সমস্যার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল এই বিশেষ নিয়ম চালু করছে। অনেক মানুষ এতদিন এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে যে যখন তারা সিনিয়ার সিটিজেনদের জন্য লোয়ার বার্থ বুক করার চেষ্টা করেছে কিন্তু টিকিট পায়নি। তবে ভারতীয় রেল এই সমস্যার সমাধান করতে চলেছে।এই সমস্যা সমাধানের সূত্রপাত হয়েছে এখান থেকে। বিষয়টি হলো প্রবীণ নাগরিকের নীচের বার্থে সিট না পাওয়ার কারণে।
টুইটারে জিতেন্দ্র নামে এক ব্যক্তি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ট্যাগ করে IRCTC কে একটি সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন এই যে, “আপনারা যখন রেলে সিট বরাদ্দের বিকল্প দেন তখন এর মানে কী হয়? আমি তিন টি সিট বুক করেছিলাম যেগুলি সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় যে তারা উপরের বার্থ ও মিডল বার্থ পেয়েছিল যার কারণে তাদের পরিবারের সদস্যদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।”
এই বিষয়টিকে ভারতীয় রেল অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করেন এবং বিষয়টির স্পষ্টীকরণ দিয়ে লেখে যে সিনিয়র সিটিজেন কোটা বার্থ শুধুমাত্র 60 বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য। যদি মহিলা যাত্রী হয় তবে সে ক্ষেত্রে তার বয়স 45 বছরের বেশি হতে হবে। তবেই তিনি সিনিয়র কোটার আওতায় আসবেন।
তবে এই সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি শর্ত রেলের তরফ থেকে রাখা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যদি সর্বাধিক দুজন প্রবীণ নাগরিক যাত্রা করে। যদি দুজনের বেশি যাত্রা করে তবে এই সুবিধা ভোগ করা যাবে না। অর্থাৎ বিষয়টি আপনার কাছে আশা করা যায় স্পষ্ট হয়ে গেছে।