অনেক বছর পূর্বে অর্থাৎ আমাদের ঠাকুরদা ঠাকুমার আমলে মানুষের মধ্যে রোগের প্রকোপ খুব কমই ছিল। তবে যত সময় এগিয়ে চলছে, ততই বর্তমানের মানুষের মধ্যে ক্রমশ রোগের আক্রমণ বেড়ে চলেছে। এরপরে দিন দিন মানুষের আয়ু আরও কমে আসছে। বর্তমান সময়ে মানুষের বেঁচে থাকার বয়স প্রায় ৬০ থেকে ৭০ বছর। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন ৫ টি স্থানের নাম বলব যেখানে মানুষ ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচেন। শুধু তাই নয় আপনি কি জানেন এখানের মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান না। তাহলে চলুন এমন জায়গাগুলি জেনে নেওয়া যাক।
বেশ কিছুদিন আগে, লুসিল র্যান্ডন (Lucille Randon) নামক বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা ১১৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে ১১৯ বছর বয়সে জাপানের (Japan) একটি বয়স্ক মহিলা মারা যান। আপনারা কি জানেন এত বছর বয়স পর্যন্ত তাদের বেঁচে থাকার আসল রহস্য কী? কারণটি হল ফ্রান্স (France) এবং জাপানে (Japan) এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যেখানে অবস্থিত বাসিন্দারা বেশি রোগের প্রকোপে পড়েন না এবং দীর্ঘ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারেন। দীর্ঘ বছর ধরে বেঁচে থাকার কারণে এইসব অঞ্চলগুলিকে বলা হয় নীল অঞ্চল (Blue Zone)।
তবে এই নীল অঞ্চলগুলির সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বেঁচে থাকার কারণ কী? আসলে একজন আমেরিকান লেখক যার নাম ড্যান বুয়েটেনা (Dan Buettener) বিশ্বে এমন পাঁচটি অঞ্চল খুঁজে বের করেন সেখানে মানুষ বেঁচে থাকে ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে। এই অঞ্চল গুলির নীল অঞ্চল বা ব্লু জোন নামে পরিচিত। সেই লেখক এই অঞ্চলগুলি সম্বন্ধে জন মানুষকে অবগত করার জন্য ‘দ্য ব্লু জোন্স’ (The Blue Zones) নামক একটি বইতে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখে প্রকাশ করেছেন।
এই স্থানগুলিকে ব্লু জোন বলা হয় কারণ, এখানের বাসিন্দারা কোনদিন রোগ আক্রমণে মারা যায়নি। বয়স যত বৃদ্ধি পায় সেই কারণেই এই স্থানের বাসিন্দারা মারা যান। তবে এখানের মানুষের জীবনযাত্রা ধরন সম্পূর্ণই আলাদা। সব সময় পেট ভর্তি করে খাবার খান না তারা অর্থাৎ ৮০% খান। সন্ধ্যায় হালকা জাতীয় কিছু খাবার গ্রহণ করেন। এই অঞ্চলের সকল মানুষ দুপুরে মাত্র আধঘন্টা ঘুমায়। এখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগ সময় খেলাধুলায় নিযুক্ত থাকেন। যে কারণে তারা বেশি রোগাক্রান্ত অন্য এবং দীর্ঘ জীবন বাঁচেন।