কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। পবিত্র রমজানে আকাশে একই সঙ্গে দেখা দিয়েছে চন্দ্র এবং শুক্রকে। নিঃসন্দেহে ওই ঘটনাটি ছিল একটি বিরল ঘটনা। তবে চলতি বছরের রমজানের মতোই আরো একটি বিরল ঘটনা ঘটবে আজ সেই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে নেব আমরা।
প্রথমেই জেনে নেব রমজান সম্পর্কে কিছু কথা। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল শেষ হবে পবিত্র রমজান মাস। গোটা একটি মাস যাবত ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সূর্যোদয়ের আগে খাবার খেয়ে সেহরি পালন করেন। এরপর গোটা দিন অর্থাৎ সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত উপোস করে সূর্যাস্তের পরে ইফতার করেন এবং খাবার গ্রহণ করেন।
মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস, তাই গোটা একটি মাসজুড়ে একনিষ্ঠভাবে রমজান পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এই গোটা এক মাসে প্রত্যেকদিন রোজা রাখার নিয়মও পালন করেন তারা। সাধারণত একটি বছরে একবারই রমজান পালন করা হয়। কিন্তু ২০৩০ সালে একটি বিরাট ব্যতিক্রম হতে চলেছে।
২০৩০ সালে নাকি দুবার পালন করা হবে রমজান। কিন্তু কেন এই ব্যতিক্রম হবে? উত্তর দিয়েছেন সৌদি আরবের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ওই জ্যোতির্বিজ্ঞানীর মতে, ২০৩০ সালে একবার জানুয়ারি মাসে এবং একবার ডিসেম্বর মাসে রমজান পালন করা হবে। আসলে প্রতি ৩৩ বছর অন্তর একটি বছরে দুবার রমজান পালন করতে হয়। আমরা যে ক্যালেন্ডার অনুসরণ করি সেই ক্যালেন্ডার সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর প্রদক্ষিনের উপর নির্ভর করে। কিন্তু রমজান পালন করা হয় হিজরি ক্যালেন্ডার অনুসারে যেটা নির্ভর করে চাঁদের প্রদক্ষিণের উপর।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অর্থাৎ যে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছর হিসেব করা হয় সেই ক্যালেন্ডারে বছর নির্ণয় করা হয় ৩৬৫ দিনে। কিন্তু হিজরী ক্যালেন্ডার বছর নির্ধারণ করা হয় ৩৫৪ দিনে। এই দুই ক্যালেন্ডারের মধ্যে পার্থক্য থাকার কারণে ৩৩ বছর অন্তর অন্তর বছরে দুবার রমজান পালন করতে হয়। কিন্তু পুরোটাই ওই জ্যোতিবিজ্ঞানীর কথা এই ব্যাপারটি নিয়ে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি এখনো তাই ব্যাপারটি সত্যতা এখনো যাচাই করা হয়নি।