ব্যস্তময় জীবনে অফিসের সময় কিংবা কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রতিদিন আমরা ট্রাফিক জ্যামের সমস্যায় পড়ি। প্রশাসন থেকে খারাপ রাস্তা মেরামত করা হলেও কিংবা রাস্তাঘাটে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সঠিক সময় পৌঁছানোর জন্য জ্যামের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হলেও রাস্তায় জ্যামের সমস্যা কমবে না।
ডিজেল চালিত যানবাহন, পেট্রোল চালিত যানবাহন, এছাড়াও সিএনজি কার এই সমস্ত যানবাহনের কথা শুনলেও কখনো উরন্ত বাইকের কথা শুনেছেন? জানেন এই বিষয়ে? এবার আপনি হয়তো বলবেন হ্যাঁ, আমি সিনেমার পর্দায় এমন উড়ন্ত বাইক কিংবা কোনও যানবাহনকে অ্যাকশনের সময় উড়তে দেখেছেন। কিন্তু এই ফ্লাইং বাইক বাস্তবে কোনদিনও দেখেছেন? দেখেননি তো? তবে আপনাকে জানিয়ে রাখি এবার বাজারে এসে গেছে উড়ন্ত বাইক বা ফ্লাইং বাইক। এই বাইকটি এমনি যেমন রাস্তায় চালাতে পারবেন তেমন আকাশেও উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
দৈনন্দিন জ্যামের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং সঠিক সময় যেকোনো গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এই উড়ন্ত বাইক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হবে। বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত মোটরবাইক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে জাপানের একটি স্টার্টআপ সংস্থার হাত ধরে। এই বাইকটি সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট উচ্চতায় উপরে উঠে শূন্যে উড়তে পারে। এই উড়ন্ত বাইকের খবর পাওয়া মাত্রই যাত্রীরা তা দেখার জন্য ভীষণভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আপনাকে জানিয়ে দিই বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থা ‘হোভার বাইক’ নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে, চারিদিকে বিভিন্ন পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কিছু বিশেষ কারণের জন্য তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে সম্প্রতি জাপানের একটি অটোমোবাইল কোম্পানি তৈরি করল বিশ্বের প্রথম হোভার বাইক ‘এক্সটুরিসমো’ (exturismo)।
সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, ৩০০ কেজি ওজনের এই উড়ন্ত মোটরবাইকটির বিমা ও কর মিলিয়ে মূল্য হবে ভারতীয় মুদ্রায় সাত কোটি টাকা। এই বাইকটি একজন ব্যক্তির ওজন নিতে পারে। বাজারে বেশ অল্প সংখ্যক এই উড়ন্ত বাইক উৎপাদিত করা হয়েছে। কারণ জনগণের চাহিদা হিসাবে কোম্পানি এই উড়ন্ত বাইকের পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটাবে। শোনা যাচ্ছে ২০২৫ সালেই বাজারে লঞ্চ হতে চলেছে যাত্রীদের সাহায্যকারী এই উড়ন্ত বাইক (Flying Bike).