আমরা প্রত্যেকেই জানি দেশে ধনীতম শিল্পপতিদের মধ্যে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) নাম দ্বিতীয় স্থানে আর তিনিই সারা পৃথিবীতে ধনী শিল্পপতিদের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছেন। বর্তমানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির মার্কেটের বাজেট হল ১৫.৬ লক্ষ কোটি টাকা। তবে যারা যারা নিজেদের কাজে সফল হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বলেন যে তাদের সফলতার পিছনে এমন অনেক ব্যাক্তি আছেন যাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই সেই ব্যাক্তি ও তার স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। তেমনই মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির সফলতার পিছনে রয়েছে মোট আরও ৫ জন সদস্য। তারা হলেন –
১) স্বয়ং মুকেশ আম্বানি:
অনেক বছর ধরে মুকেশ আম্বানি নিজেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান এবং এমডি। এ ব্যক্তি তার জীবনের এবং ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেন খুব ভাবনা-চিন্তা করে নেন। সে সঠিক সিদ্ধান্তের পদক্ষেপগুলির প্রতিফলিত দর্শন আমরা দেখতে পেয়েছি ৫জি পরিষেবার জন্য স্পেকট্রাম কেনা, জিও চালু করা এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি’তে। এছাড়াও তার তৈরি একটি শক্তিশালী দল তাকে যেকোনো সিদ্ধান্তে সু- পরামর্শ দিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আর এই শক্তিশালী দলের কারণেও তিনি তার পিতা ধিরুভাই আম্বানির কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বিশাল আদর্শের সাম্রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সফল হয়েছে। তার এই শক্তিশালী দলের সদস্যরা হল তার পরিবারের সদস্যরা।
২) নীতা আম্বানি :
মুকেশ আম্বানি সবসময় বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তার স্ত্রী নীতা আম্বানি সমস্ত কাজই খুব দক্ষ। তিনি যেমন ব্যক্তিগত জীবনে মুকেশ আম্বানির সব সময় পাশে থাকে এবং তাকে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দেন। তেমনই ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ক তার অবদান অনস্বীকার্য। নীতা আম্বানি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজির খুব পছন্দ করেন এবং তিনি অনেক বছর ধরে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন। ইস্ট ইন্ডিয়া হোটেলের ১৪.৮ শতাংশ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্তে ২০১০ সালে খুবই সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। নিতা আম্বানি একজন অত্যন্ত ভালো হোস্ট, তাই তিনি অ্যান্টিলিয়াতে প্রায়ই গ্র্যান্ড পার্টির আয়োজন করেন। যেখানে সমস্ত পেশার তারকারা উপস্থিত থাকেন।
৩) মনোজ মোদী :
মনোজ মোদী হলেন এমন একজন ব্যক্তি তিনি যে কোন ক্ষেত্রে পর্দার আড়ালে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। তাই দেশ বিদেশের অনেকেই তাকে চেনেন না। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিকে সমৃদ্ধ করে তোলার পেছনে এই ব্যক্তির বেশ শক্তিশালী অবদান রয়েছে। এক কথায় ব্যবসায়িক জগতে মনোজ মোদীকে মুকেশ আম্বানির ডান হাত বলা হয়। ফেসবুকের মতোন শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়ার ৫.৭ বিলিয়ন চুক্তিতে মনোজ মোদী মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। একসময় তিনি ছিলেন মুকেশ আম্বানির ইংরেজি স্কুলের সহপাঠী। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত প্রকল্পে তিনি রয়েছেন।
৪) আকাশ আম্বানি :
মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির বড় ছেলে আকাশ আম্বানি ২০২২ সালের ২৮শে জুন জিওর বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত হন। আকাশ আম্বানি তার বোন ইশা আম্বানির সাথে ২০১৫ সালে জিও-র ৪ টি পরিষেবা শুরু করেছিলেন। এককথায় বলা যায়, জিও-র ৪জি ইকো সিস্টেম স্থাপনের কৃতিত্ব স্বয়ং আকাশ আম্বানির। আকাশ আম্বানি ২০২০ সালে সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের ফরচুন ‘৪০ আন্ডার ৪০’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।
৫) ইশা আম্বানি :
মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানির সন্তান ইশা আম্বানি ২০১৪ সালে জিও এবং রিলায়েন্স রিটেলের পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত হন। তার নাম ২০১৪ সালে এশিয়ার ১২ শক্তিশালী ভবিষ্যত ব্যবসায়িক মহিলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।