মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং তার ভাই অনিল আম্বানি (Anil Ambani) এই দুই ভাইকে সারা পৃথিবী চেনে। দুজনেই বহুবছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে ব্যবসায়িক (Business) জগতে নিজেদের একটি পরিচিত স্থান তৈরি করেছেন।
তবুও এই দুই ভাইয়ের মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে। মুকেশ আম্বানি হলেন সারা পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম (Reliace Industry Owner Mukesh Ambani)। অপরদিকে তার ভাই অনিল আম্বানির (Anil Ambani) আর্থিক অবস্থা তাদের তুলনায় খুব বেশি স্বচ্ছল নয়। শুনলে অবাক হবেন তবে এই অনিল আম্বানি নাকি মুকেশ আম্বানিকে জেলে পাঠাতে চেয়েছিলেন।
শুনে অবাক লাগলেও মিডিয়া সুত্রে সেটাই জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবরানুযায়ী, অনিল আম্বানি তার ভাই মুকেশ আম্বানির পর দশ হাজার কোটি টাকার একটি মানহানির মামলা করেছিল। একটি বড় মিডিয়া সংস্থার সাক্ষাৎকারে মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) জানিয়েছিলেন, ‘নিজের ভাইয়ের থেকে আমি আলাদা হয়ে যাওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে গুপ্তচর নিয়োগের অভিযোগ ছিল।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আম্বানি পরিবারের প্রধান সদস্য ধীরুভাই আম্বানির (Dhirubhai Ambani) মৃত্যুর তিন বছর পর যখন রিলায়েন্স গ্রুপটি দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল এই মানহানিকর ঘটনাটি সেই সময়ই ঘটেছিল। তখন মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) ভাগে ছিল তেল শোধনাগার এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যবসার ভার অপরদিকে টেলিকম, এনার্জি এবং ফাইন্যান্স এই ভাগগুলোর ভার ছিল অনিল আম্বানির (Anil Ambani) হাতে।
ভাগাভাগির পর চুক্তি অনুযায়ী অনিল আম্বানি মুকেশ আম্বানির বিরুদ্ধে তার নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ না করার অভিযোগ তোলেন। অবশ্য একটা সময় মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানি এই দুই ভাইয়ের মধ্যে শত্রুতা কিছুটা হলেও কমেছিল যখন মুকেশ আম্বানি নিজেই অনিল আম্বানি’কে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন।
একবার অনিল আম্বানি সুইডিশ কোম্পানি এরিকসনের কাছে ৫৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। তবে অনিল আম্বানি সেই ঋণ শোধ করতে ব্যর্থ হন। তার এই খারাপ সময়ে বড় ভাই মুকেশ আম্বানি তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। সুইডিশ কোম্পানি এরিকসন’কে মুকেশ আম্বানি সম্পূর্ণ টাকা শোধ করে দিয়ে ভাইকে জেল যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন।